উদ্যোক্তা- মাজেদুল রহমান

রাজধানীর মোহাম্মদীয়া হাউজিংয়ের রাস্তায় ঢুকে একটু সামনে এগুলেই যেকোন পথচারীকেই চুম্বকের মতো আকর্ষণ করে মাজেদুল ইসলামের স্মার্ট হ্যান্ডিক্রাফটের শোরুমটি। বাবা ও বড় ভাইয়ের পরিচালিত বাঁশ-বেতের ফার্নিচারের ছোট্ট দোকানের দেখ-ভালের দায়িত্ব মাত্র ১২ বছর বয়সে এসে পরে তার ওপর। সব দায়িত্ব বুঝে নিয়ে কয়েক বছরের মাথায় ব্যবসা একটু বড় করলেন সঙ্গে যোগ করলেন হ্যান্ডিক্রাফটের নানান আইটেম।

সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা নিরলসভাবে পরিশ্রম করেন উদ্যোক্তা মাজেদুল ইসলাম। ফ্যাক্টরি সামলানো, দোকানে বসা আবার বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পণ্য সংগ্রহ করা। এরইমাঝে দোকান আরও বড় করবার প্রয়োজন দেখা দেয়। তখন মোহাম্মদপুরে মোহাম্মাদিয়া হাউজিংয়ের মেইন রোডের ৬ নাম্বার বাসায় বড় একটি দোকান নিয়ে হ্যান্ডিক্রাফটের সকল আইটেম রাখতে শুরু করলেন।

মাজেদুল উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, এখানে ১০টাকা থেকে শুরু করে ৫০-৬০ হাজারের সোফা-খাট সবই পাওয়া যায়।ক্রেতা তার ইচ্ছেমতো ডিজাইন দেখিয়ে পণ্য বানিয়ে নিতে পারেন।

উদ্যোক্তা জানালেন, বিশেষ উৎসবের জন্য আমরা দিয়ে থাকি স্মার্ট একটা ডিসকাউন্ট। আগামী ঈদেও তার ব্যতিক্রম হবে না।

মাজেদুল বলেন, ‘দাম এবং কালেকশনে আমরা খুব সচেতন। কোন ক্রেতাকে যেনো ফিরে যেতে না হয় তাই প্রতিটি পণ্যের আবার থাকে আলাদা ডিজাইন। যেমন অনেক ডিজাইনের আয়না আছে কিন্তু আমরা বাঁশ-কাঠের কিছু নান্দনিক সংমিশ্রনে আয়না বানাতে যাচ্ছি যা আমরাই বাংলাদেশে প্রথম তৈরি করব’।
‘‘সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এন্টিক বাঁশ-কাঠের নান্দনিকতাময় পণ্যের কদর বাড়ছে। তাই গ্রাহকের চাহিদায় এখন ইচ্ছা ধানমন্ডিতে আরও একটি শো-রুম নেয়ার।’’

কয়েক বছর আগে মাজেদুলের বাবা মারা যাওয়ার পর এখন ছোট ভাই তাকে সাহায্য করেন। ১৫ জন্য কর্মী নিয়ে সফল ভাবে পরিচালনা করছেন তার ব্যবসা। সুদীর্ঘ ১৮ বছরের ব্যবসা জীবনে অংশগ্রহণ করেছেন অনেক মেলায় এবং জিতে নিয়েছেন শত শত স্টলের মধ্যে প্রথম পুরস্কার।

 

 

বিপ্লব আহসান

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here