পৌষ উৎসবকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ।
পুতুলনাচ ও বায়োস্কোপে শিশু-কিশোর আর তাদের মায়েদের ভিড়। শিশুদের সঙ্গে তারাও উদ্বেলিত। ছোটবেলায় দেখা বায়োস্কোপের স্মৃতি আওড়াচ্ছিলেন কেউ কেউ। আছে নাগরদোলা থেকে শুরু করে চরকি, সার্কাস। গ্রামীণ মেলার আদলে লোকজ নানা পণ্য—মুড়ি, মুড়কি, পিঠা, নকশি কাপড়, বাদ্যযন্ত্র আর খেলনার পসরা সাজানো। মূল মঞ্চে দলীয় কণ্ঠে চলছিল রবীন্দ্রসংগীত। এ হচ্ছে পৌষ উৎসব-১৪২৬।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, ‘পৌষে পাকা ধানে বাঙালির গোলা ভরে ওঠে। নতুন চাল দিয়ে পিঠা-পায়েস বানিয়ে সবাই মিলে উৎসব করে খাওয়াদাওয়া করা হয়। বাঙালি সমাজের উৎসবের সেই আবহকে সৃষ্টি করতেই আমাদের এই পৌষ মেলার আয়োজন। যাতে এই এলাকা ও আশপাশের মানুষ সবাই মিলিত হয়ে শীতের এই আমেজ উদ্যাপন করতে পারেন। মানুষে মানুষে সম্পর্ক আরও গভীর হয়, সুন্দর হয়। পারস্পরিক মিলন আনন্দে তাদের জীবন ভরে ওঠে, প্রকৃতি ও সমাজ সমৃদ্ধ হয়। এই মেলায় আমরা বাংলার নিজস্ব ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছি।’
![](https://uddoktabarta.com/wp-content/uploads/2020/01/p-1.jpg)
বাঙালির ঐতিহ্যবাহী জামদানী শাড়ি, রাজশাহী ও টাঙ্গাইলের সিল্কও মিলছে মেলায়। নানারকম পণ্য সামগ্রী নিয়ে শতাধিক দোকান বসেছে উৎসব প্রাঙ্গণে।
এক কোণায় বিশাল পাত্রকে পুকুরে রূপ দিয়ে রাখা হয়েছে টাকি মাছ। এই পুকুরের পাশেই খড় ও বাঁশের বেড়া দিয়ে গ্রাম্য আদলে তৈরি করা হয়েছে ‘সুরের ধারা পল্লী’।
উৎসবে আসা দর্শনার্থীরা এই সুন্দর গ্রামীণ ঘরের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করতে ভুল করছেন না।
রোববার সুরের ধারার সব বিভাগের শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এছাড়া দেশবরেণ্য সঙ্গীত শিল্পীরাও গান পরিবেশন করছেন। রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী তপন মাহমুদ, নজরুল সঙ্গীত শিল্পী বিজন মিস্ত্রীসহ অনেক জনপ্রিয় শিল্পী গান পরিবেশন করে উপস্থিত কয়েক হাজার শ্রোতাকে আকৃষ্ট করেন।
এরআগে ঢাকার লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে রোববার (১২ জানুয়ারি) প্রথমদিন প্রদীপ প্রজ্বালন করে উৎসব উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম।
বিকাল ৫টা থেকে উৎসবের কার্যক্রম শুরু হয়। রাত ১২টা পর্যন্ত চলে উৎসব। সোমবার রাত ১২টায় শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার জন্মদিনের কেক কাটার মধ্য দিয়ে এই আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা