উদ্যোক্তা- মোঃ আব্দুল গোফুর

বাংলাদেশের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে কাঁসা-পিতলের ব্যবহার। জনপ্রিয় কাঁসা ও পিতলের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এ শিল্প নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের মোঃ আব্দুল গোফুর।

কাঁসা-পিতলের তৈরি বিভিন্ন ডিজাইনের শো-পিস

১৯৭১ সাল। পড়াশোনার পাশাপাশি বাবার কাঁসা-পিতলের ব্যবসা দেখাশুনা করতেন। কলেজে পড়ার সময় নিজ উদ্যোগে মাত্র ১৫ হাজার টাকা দিয়ে পৌরবাজার, চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু করেন।

ছোট থেকেই কাঁসা-পিতল নিয়ে কাজ করেছেন। সেই অভিজ্ঞতাই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে সাহায্য করে আব্দুল গোফুরকে। কাঁসা-পিতল দিয়ে কলস, গামলা, গ্লাস, থালা তৈরিতে বিভিন্ন কারিগর প্রয়োজন হয়। সেসময় কাঁচামাল এবং কর্মীদের মজুরী কম থাকায় ৩০ জন কর্মী নিয়ে নেমে পড়েন ব্যবসায়ে।

কাঁসা-পিতলের তৈরি পণ্যে বিভিন্ন ডিজাইন ফুটিয়ে তুলেছেন উদ্যোক্তা

উদ্যোক্তা আব্দুল গোফুর তার তৈরি পণ্য বিভিন্ন হাটে গিয়ে বিক্রি করতেন। নব্বই এর দশকে এসে বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণ করেন। উদ্যোক্তার প্রতিষ্ঠান মধুমিতা বাসনালয়ের পরিচিতি বাড়তে থাকে। যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে কাঁসা-পিতলের চাহিদা কমে যায় এবং কাঁচামাল সামগ্রীর দাম ও কর্মীদের মজুরী অনেক বেড়ে যায়। সত্তর দশকে কর্মীদের মজুরী যেখানে পৌনে দুই টাকা ছিলো তা আজ দাড়িয়েছে ৬০০ টাকায়।

কাঁসা-পিতলের তৈরি বিভিন্ন সৌখিন পণ্য

কাঁসার তৈরি জিনিসপত্রের ব্যবহার দিন দিন কমে গেলও এখনো সৌখিন মানুষের কাছে এর চাহিদা আছে। বর্তমানে তিনি কাঁসার তৈরি বিভিন্ন ধরনের শো-পিস, বিভিন্ন ডিজাইনের থালা, ফুলদানি ইত্যাদি তৈরি করছেন। উদ্যোক্তার পণ্য গুলো বাংলাদেশের সকল প্রান্তে যাচ্ছে। দেশের বাইরে এ শিল্পের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

কাঁসা-পিতলের ঐতিহ্যবাহী পণ্য

 

উদ্যোক্তা ইউবি প্রেসকে জানান, “সরকার যদি এ শিল্পের উপর দৃষ্টি আরোপ করেন তাহলে আমরা এ শিল্পকে দেশের বাইরে রপ্তানি করতে পারব”।

বর্তমানে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটিতে ৫০জন কর্মীকে সাথে নিয়ে সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন উদ্যোক্তা মোঃ আব্দুল গোফুর।

 

 

রাজশাহী থেকে রাইদুল ইসলাম শুভ
এসএমই করেস্পন্ডেন্ট ,উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here