পানির উপরে বাঁশ, কাঠ এবং টিনের তৈরী দৃষ্টিনন্দন একটি রেস্টুরেন্ট। সেখানে বসে খাচ্ছেন আর পানিতে রঙিন মাছ ভেসে বেড়াতে দেখছেন, থোকায়-থোকায় আম ঝুলতে দেখছেন– নিঃসন্দেহে আপনার মন উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠবে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ দেখে। রাজশাহী নগরীতে পানির উপরে গড়া প্রথম রেস্টুরেন্ট রিজিক ফিস বার বি কিউ-য়ে এরকম সবকিছুই পাবেন আপনি।
নগরীতে এটি যেমন পানির উপর গড়া প্রথম রেস্টুরেন্ট তেমনি বার বি কিউ-এর জন্যও এটিই প্রথম। উদ্যোক্তা সদরুল আমিনকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আরও অনেকেই বারবিকিউ চালু করেছেন। তবে তার উদ্যোগটা ভিন্নরকম। রুপচাঁদা, কোরাল, টুনা, অক্টোপাস, পাইশা, তেলাপিয়া, ভাঙন, গলদা চিংড়ি, চাটি চিংড়ি, বাগদা চিংড়ি, কাঁকড়াসহ নানা প্রকার মাছের বারবিকিউ হয় রিজিক ফিস বার বি কিউতে। এছাড়াও এখানে রয়েছে কিছু সেট মেনু, জুস এবং ফাস্ট ফুড আইটেম।
২০২১ সালের ১৬ই নভেম্বর বাবার জন্মদিনে উপহার হিসেবে এই রেস্টুরেন্টটি দিয়েছিলেন সদরুল আমিন মিলন। দশ কাঠা জমিতে দৃষ্টিনন্দন রেস্টুরেন্টটি গড়তে উদ্যোক্তার খরচ হয়ছিলো ২২ লাখ টাকা। রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়াসহ দেশের নানা প্রান্ত হতে নিয়মিত রিজিক ফিস বার বি কিউতে আসছেন অনেক ক্রেতা। তাই উদ্যোক্তা আশা রাখছেন অল্পদিনের মধ্যেই বিনিয়োগ উঠে আসবে।
উদ্যোক্তা বার্তার সাথে কথোপকথনে উদ্যোক্তা সদরুল আমিন মিলন বলেন, “রাজশাহীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা শেষ করে আমি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে বেশ কয়েক বছর চাকরি করেছি। ২০১২ সালে শাহ মখদুম অটো এন্টারপ্রাইজ নামে রাজশাহীতে সর্বপ্রথম ব্যাটারিচালিত রিকশা তৈরি শুরু করি। বর্তমানে সেটিকে মোটা চাকায় আমরা রূপান্তর করেছি। রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারি মূল্যে আমরা ব্যাটারিচালিত রিকশা বিক্রয় করি। এর পাশাপাশি রাজশাহীর ভদ্রা রেলক্রসিং এর পাশে আমরা ২০২১ সালে রিজিক ফিস বার বি কিউ রেস্টুরেন্ট চালু করি। আলহামদুলিল্লাহ, রাজশাহীসহ দেশের নানাপ্রান্ত থেকে ক্রেতা দর্শনার্থীরা আসছেন। তাদের ভালো লাগা মন্দ লাগা আমাদের সাথে শেয়ার করছেন। আমরা তাদের ভালোটা দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।”
রেস্টুরেন্টকে ঘিরে ইতোমধ্যে ৯ জন স্থায়ী এবং ২ জন অস্থায়ী সহযোদ্ধার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। খুব শিগগিরই এখানে আরও অনেক তরুণের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করেন উদ্যোক্তা সদরুল আমিন মিলন।
তামান্না ইমাম
উদ্যোক্তা বার্তা,রাজশাহী