উদ্যোক্তা- চন্দনা আহমেদ

রংপুর অঞ্চল তামাকের জন্য বিখ্যাত হলেও এখন এ অঞ্চলে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তার সমাগম।

ধীরে ধীরে রংপুর অঞ্চলের নারীরা কর্মে অনেক শক্তিশালী হয়েছে। নারী এখন মাঠে ঘাটে কাজ করেছে না ঘরে বসে আয় করছে, শহর, বন্দর, সব খানেই সব কাজে এগিয়ে, এমনি একজন রংপুরের নারী উদ্যোক্তা চন্দনা আহমেদ, তিনি গড়ে তুলেছেন রাইদা হ্যান্ডিক্রাফট।

উদ্যোক্তা প্রথমে বুটিক দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসার শুরুতে নিজের পোশাক তৈরী শুরু করেন, স্কুল, কলেজ, কোচিং এ নিজের বানানো পোশাক পড়ে যেতেন, পরিচিতিজনেরা তার পোশাক দেখে বলতেন, আপা আপনার পড়া পোশাক এতো সুন্দর কোথায় পাওয়া যায়, তিনি উত্তর দেন যে আমি নিজে তৈরী করে থাকি। সবার কাছ থেকে নিজের পণ্যের অনেক প্রশংসা কুড়ান, সাথে সাথে অর্ডার পেতে শুরু করেন উদ্যোক্তা চন্দনা আহমেদ।

তিনি বলেন, প্রথমে চার-পাঁচটা অর্ডার থেকে এখন শতশত অর্ডার পাই। কাজের পরিধিও বাড়তে থাকলে কর্মীসংখ্যাও বাড়তে থাকে, গ্রামের ১১০ জন অবহেলিত মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন তিনি।

বর্তমানে উদ্যোক্তা রংপুর চেম্বার অব কমার্স সদস্য এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর স্থানীয় মেলায় অংশগ্রহণ করলেন, মেলায় ভালো সাড়া মিললো, মেলায় অংশগ্রহণের ফলে অর্ডারের পরিমাণ বাড়তে থাকে।

এছাড়া জুট নিয়েও কাজ করছেন বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণ করেন। জুটের বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরী করে থাকেন নারী উদ্যোক্তা চন্দ্রনা আহমেদ। নারী হিসেবে পাট নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, বর্তমানে আর, ডি, এস জুট নিয়ে কাজ করছেন।

জুটের ব্যাগ, ওয়ালমেট, টেবিল ম্যাট, কলমদানি, জুটের বাহারি পণ্য, তার সব পণ্যে জুটের আচঁড় দিয়েছেন।

উদ্যোক্তা বলেন, পাট আমার কাছে ভালোবাসার জায়গা, পাট দিয়ে আমরা অনেক কিছু তৈরী করছি, জুটের সুট তৈরী হবে। পাট কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। আমাদের সোনালী আঁশ একটা শক্তিশালী অবস্থান  তৈরী করেছে, তাই পাট পণ্যকে গুরুত্ব দিতে হবে।

উদ্যোক্তার ইচ্ছে পাটের শতরঞ্জি তৈরী করবেন কেন না আন্তর্জাতিক মানের পাটের শতরঞ্জি বিদেশের বাজারে ব্যাপক চাহিদা।

 

 

কোরবান আষাঢ়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here