“পাটের শতরঞ্জি, বিভিন্ন ব্যাগ, ওয়াল ম্যাট, ফুলদানি, গহনাসহ বিভিন্ন পাট পণ্য। মনের মাধুরি দিয়ে রং ও একেকটি নকশাঁয় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে প্রতিটি পণ্য। বলছি উদ্যোক্তা রেজওয়ানা পারভীন এর সফলতার গল্প। বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: রেজাউল আলম ও রোকেয়া আলমের কন্যা রেজওয়ানা পারভীন সিমি। দুইবোন একভাই এর মধ্যে রেজওয়ানা পারভীন সবার বড়।
রেজওয়ানা পারভীনের জন্ম পাটগ্রামে হলেও বেড়ে উঠেছেন সৈয়দপুর জেলার নিলফামারীতে। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং সৈয়দপুর মহিলা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষ করেন।

পড়াশোনা শেষ করে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চার বছর চাকরি করেন। অন্যের অধিনে কাজ করতে মন চাইছিলো না তার। কিন্তু কি করা যায়? সেই ভাবনায় পরে যান রেজওয়ানা পারভীন। অনেক চিন্তাভাবনার পর তিনি ঠিক করলেন এমন কিছু একটা করবেন যা তার নিজস্ব পরিচয় গড়ে তুলবে। পাশাপাশি তিনি আরো ভাবেন এমন কিছু নিয়ে কাজ করবেন যা নতুন প্রজন্মকে তাদের শেকড়ের কাছে পৌঁছে দিতে সাহায্যে করবে। আর সেই চিন্তা থেকেই ২০২০ সালে মাত্র ৫০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে তার পথচলা শুরু তার। প্রতিষ্ঠানের নাম দেন ‘বঙ্গবাহার’।

এক বছরের ব্যবধানে প্রতিদিনই তার প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যের মান উন্নয়ন ও ভিন্নতা আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে তার একটি কারখানা ও একটি শোরুম রয়েছে। যেখানে কাজ করছেন ২০ জন কর্মী। রেজওয়ানা পারভীনের এমন উদ্যোগের ফলে শুধু তার জীবনে সফলতার ছোঁয়া লেগেছে এমন নয়। এর পাশাপাশি তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ২০ জন কর্মীর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের জীবনেও লেগছে উন্নয়নের ছোঁয়া।

খুব অল্প সময়ের মধ্যে বঙ্গবাহারের পণ্যের মানের সুনাম চার দিকে ছড়িয়ে পড়ে। সেই সুনাম দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে। চাহিদা বাড়ছে বঙ্গবাহারের বাহারী ডিজাইনের নানা পণ্যের।
রেজওয়ানা পারভীন জানান, ‘বঙ্গবাহার’ নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার একটি অনলাইন পেইজ রয়েছে। সেখান থেকেও তিনি তার পণ্য ক্রেতাদের পৌঁছে দিচ্ছেন।
তামান্না ইমাম
রাজশাহী ডেস্ক, উদ্যোক্তা বার্তা