পরিবারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে বিদেশ পাড়ি দিয়েছিলেন তারা। তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি। দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খুইয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। এক পর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার হস্তক্ষেপে দেশে ফিরে আসেন তারা।
পাচারের শিকার এসব নারী ও পুরুষ মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে ভেঙে পড়েন। তাদের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় অনিরাপদ অভিবাসনে। এমন নারী ও পুরুষদের ঘুরে দাঁড়াতে সুইজারল্যান্ডের অর্থায়নে এগিয়ে এসেছে উইনরক ইন্টারন্যাশনাল।
খুলনা বিভাগে আশ্বাস প্রকল্পের মাধ্যমে মানবপাচার থেকে উদ্ধার হওয়া নারী ও পুরুষদের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) যশোর কালেক্টরেট চত্বরে আয়োজন করা হয় উদ্যোক্তা মেলা। দিনব্যাপী এই মেলায় তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করেন খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোর জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৫০ জন উদ্যোক্তা।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক আনিছুর রহমান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহিদুল ইসলাম, যশোর উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি তনুজা রহমান মায়া, নাসিব এবং বিসিক শিল্প ও মালিক সমিতির সভাপতি সাকির আলী।
উইনরক ইন্টারন্যাশনাল আশ্বাস প্রকল্পের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান ম্যানেজার ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আশ্বাস প্রকল্পের টিম লিডার দীপ্তা রক্ষিত ও রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক।
মেলায় অংশ নেওয়া উদ্যোক্তারা জানান, মানবপাচার থেকে উদ্ধার হওয়ার পর দেশে ফিরে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েন। তবে নতুনভাবে বাঁচার পথ দেখিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো। তাদের কাউন্সেলিং ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
এ বিষয়ে উইনরক ইন্টারন্যাশনালের আশ্বাস প্রকল্পের টিম লিডার দীপ্তা রক্ষিত বলেন, মানবপাচার থেকে উদ্ধার হয়ে ফিরে আসা মানুষগুলো উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। তারা সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সমাজে মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করতে সক্ষম হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, মানবপাচারের শিকার ব্যক্তিরা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার যে স্বপ্ন দেখছেন, আমরা পাশে থাকলে তারা আরও এগিয়ে যেতে পারবে।
ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা