পাখির খামারে স্বাবলম্বী ইমরান

0
উদ্যোক্তা ইমরান

নীলফামারির সৈয়দপুরের বাঙ্গানিপুর এলাকার বাসিন্দা ইমরান। শখের বশে পাখি পালন শুরু করেন। শখ থেকে নেশা। আর সেই নেশাই এখন পেশায় পরিণত হয়েছে। মাসে আয় করছেন ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা।

এসএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করে ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন ইমরান। তেমন সুবিধা করতে না পেরে ২০১৭ সালে ব্যবসা পুরোপুরি ছেড়ে দিয়ে পাখি পালনের প্রতি ঝুঁকে পড়েন। এখন তিনি নিজেকে পরিচয় দেন ক্ষুদ্র পাখি খামারি হিসেবে। 

১৩ হাজার টাকা দিয়ে ছোট একটি খামার শুরু করেছিলেন ইমরান। প্রতিনিয়ত নিউট্রোসনের মাধ্যমে নতুন নতুন রঙের পাখির জন্ম দেন। বিভিন্ন রঙের চোখ ধাঁধানো এসব পাখির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে পাখিপ্রেমীদের কাছে।

পাখি বিক্রির জন্য হাটে বাজারে যেতে হয় না ইমরানকে। বরং সামাজিক মাধ্যম থেকে ক্রেতারাই যোগাযোগ করেন উদ্যোক্তার সাথে। আবার অনেকে সরাসরি তার বাসায় এসেও সংগ্রহ করে থাকেন। পাখি নিয়ে কেউ যদি ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে তাদের সুপরামর্শও দেন ইমরান।

ইমরানের খামারে আছে ক্লাসিক বাজরিকা, জেতি বাজরিকা, কোকাটেল ফেলস, ডায়মন্ডসহ বেশ কিছু বিদেশি জাতের পাখি৷ পাখি ছাড়াও বিদেশি জাতের কিছু কবুতর যেমন গিয়া চুল্লি, লাল চুল্লি, হেলমেট ইত্যাদি রয়েছে খামারটিতে।

ইমরান বলেন: রোগ-বালাই কম হওয়ায় উৎপাদন অনেক বেশি। পাখি পালন এবং পরিচর্যাও খুব সহজ। পঞ্চাশ জোড়া পাখির জন্য আড়াই থেকে তিন কেজি খাবার লাগে। এরা সকল প্রকার শাকসবজি খেতে পারে। তবে ঋতু ভেদে খাবারে কিছু পরিবর্তন হয়।

তিনি বলেন, কেউ যদি ৫০ জোড়া পাখি নিয়ে খামার করতে চান, তাহলে তার মাসে তিন হাজার টাকা খরচ। উৎপাদন যদি প্রতি জোড়া থেকে সর্বনিম্ন তিন পিস বাচ্চা হয়, তাহলে কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।

ইমরান তার খামারটি ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারণ করতে চান। সেজন্য আরও বেশ কিছু পাখির ঘর তৈরি করেছেন। পাখির খামার করে এখন তিনি স্বাবলম্বী। বেকার যুবকদের চাকরির পেছনে না ঘুরে পাখি পালনের পরামর্শ তার৷

সেতু ইসরাত,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here