উদ্যোক্তা মোঃ এমদাদুর রহমান

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার চর বাসুদেবপুর গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীন এবং মৃত সৈয়দা বেগম দম্পতির পুত্র মোঃ এমদাদুর রহমান। জন্ম থেকে বেড়ে ওঠার পুরো সময়টায় কাটিয়েছেন নিজ গ্রাম চরবাসুদেবপুরে। তৎকালীন পাকিস্তান আমলে তিনি মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। পরবর্তীতে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে বেশ কিছু দিন চাকরি করেছেন।

আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে জন্ম হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই দেখতেন এই অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ কোন না কোনভাবে আম চাষের সাথে যুক্ত। এমদাদুর রহমানের পরিবারও তার ব্যাতিক্রম ছিল না। তাদেরও বেশ কিছু আমবাগান ছিল। কিছু দিন চাকরি করার পর তিনি চাকরি থেকে বের হয়ে এসে আম চাষের সাথে যুক্ত হলেন।

১৯৯৮ সালে তিনি নিজ উদ্যোগে ১৭ কাঠা জমিতে ২০ টি আম গাছ রোপণের মাধ্যমে আম চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তার দুটি ১৭ কাঠা এবং একটি ১৮ কাঠা জমিতে মোট তিনটি আমবাগান রয়েছে।

মোঃ এমদাদুর রহমান উদ্যোক্তা বার্তাকে জানান, ১৯৯৮ সালে আমবাগান করতে যে পুঁজি লেগেছিল এখন তা বহুগুণে বেড়ে গেছে। বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাগানিদের সকল কর্মকাণ্ড সহজ হয়ে গেছে।

মোঃ এমদাদুর রহমান আরো বলেন, সকল কিছুতেই যেমন আধুনিকতার ছোঁয়া এসেছে তেমন বাগানিরাও বাগানে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগিয়েছে, এতে আমের ফলন ভালো হয়।

‘আমি আমার বাগানগুলোতে বালাইনাশক পলিব্যাগ দ্বারা আমগুলো মুড়িয়ে রাখি এতে পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে আম রক্ষা পায় এবং অতিরিক্ত বৃষ্টি-তাপমাত্রা সকল কিছু থেকে পলিব্যাগগুলো আমের যথাযথ ফলন নিশ্চিত করে। এতে আগের তুলনায় ফল বেশি টিকে থাকে এবং লাভবান বেশি হওয়া যায়’ – এমনটি বলছিলেন মোঃ এমদাদুর রহমান।

এমদাদুর রহমানের তিনটি বাগানে ৬০টির অধিক গাছ রয়েছে। হিমসাগর, ক্ষীরসাপাত, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি, বোম্বাই, ক্ষুদি ক্ষিরসা, কাঁচা মিঠা, আঠি, আমরুপালি, সুরমা, রাণি পছন্দ, লখনা ও আশ্বিনাসহ আরো বেশ কিছু জাতের আম রয়েছে তার আমবাগানে।

মোঃ এমদাদুর রহমানের ছেলে মোঃ আব্দুল কাদির নাবিন জানান, ফেসবুকে ‘হালাল’ নামে একটি পেজ চালু করেছি যার মাধ্যমে আমাদের বাগানের ভেজালমুক্ত আম দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দিতে পারি। বাগান পরিচর্যার জন্য অস্থায়ী কয়েকজন কর্মী বাবাকে সহযোগিতা করে থাকেন।

তরুণদের উদ্দেশ্যে মোঃ এমদাদুর রহমান বলেন, ‘আপনারা উদ্যোগ গ্রহণ করুন। নিজে স্বাবলম্বী হয়ে আরো দশজনকে স্বাবলম্বী হতে সহযোগিতা করুন।’

তামান্না ইমাম
রাজশাহী ডেস্ক, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here