পানির অপর নাম জীবন। নিরাপদ পানি দিতে পারে স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ জীবন। মানব দেহের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করবার জন্যও প্রয়োজন নিরাপদ পানি।পানি যদি বিশুদ্ধ না হয়, যদি না হয় নিরাপদ তবে তা হতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ। নানা রকম পানিবাহিত সংক্রামক ব্যধিতে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ, হারাতে পারে জীবন।
পানি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে কর্ম জীবনে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন তারা। নিরাপদ পানির ব্যবসায় তারা প্রথম যুক্ত হলেন ২০১১ সালে। পানির ব্যবসার সাথে যুক্ত হওয়ার ব্যাপারে মোস্তফা আজিম কাশেম খান বলেন “শহরের অলিতে গলিতে বাস করতে গিয়ে, চলতে গিয়ে সবসময় নিরাপদ পানির অভাব বোধ করেছি। নিরাপদ পানির সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছি। সেখান থেকে আমরা চিন্তা করি বর্ধিঞ্চু জনসংখ্যার কারণে সরকারের অনেক আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকার পরও এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, যদি না সরকারের সাথে বেসরকারি খাতের তরুণ উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসেন”।
২০১৫ সালে তিন উদ্যোক্তাগণ উৎস থেকে পানি নিরাপদকরণ প্রক্রিয়ার পরিকল্পনায় উপনীত হলেন এবং গবেষণার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন, উন্নত মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে দূষিত পানি নিরাপদকরণ সম্ভব। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে তারা বিভিন্ন ডেভেলপারদের সাথে একত্রে কাজ শুরু করলেন এবং সফলতার সাথেই তাদের কাজ সম্পন্ন করলেন।
জনাব কাশেম আরও বলেন “সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের কথা চিন্তা করলে আমরা দেখতে পাই, সকলের পক্ষে বিশুদ্ধ পানি ক্রয় করে ব্যবহার করা সম্ভব নয়। সাধারণভাবে কলের পানি সরাসরি পান করার ফলে অনেকেই রোগব্যাধির কবলে পড়ছে। তাই আমরা উন্নত মানের প্রযুক্তির, যন্ত্রাংশ ও পানি বিশুদ্ধকরণ মিডিয়া ব্যবহার করে, একটি ভবনের বা বাড়ির পানি আসার উৎস থেকেই পানিকে পান করার উপযুক্ত করে নিরাপদ পানি ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাই”।
২০১৭ সালের জুন মাসে উদ্যোক্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেন ফ্লো-ওয়াটার সল্যুশন লিমিটেড। ফ্লো-ওয়াটার সল্যুশন লিমিটেড দীর্ঘ দিনের গবেষণালব্ধ বিশ্বমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে যান্ত্রিক ও প্রাকৃতিক বিভিন্ন স্তরের সন্নিবেশ ঘটিয়ে পানি, বর্জ্য পানি পুনঃব্যবহার যোগ্যকরণ, প্রাক-প্রকৌশলে ধারণকৃত পানির নিরাপদকরণ থেকে শুরু করে এই সংক্রান্ত সরঞ্জাম, যন্ত্র, যন্ত্রাংশ, পানি বিশুদ্ধকরণ মিডিয়া সরবরাহ সম্পর্কিত সেবা প্রদান করে থাকেন।
উদ্যোক্তাদের সাথে আজ ২২ জনের বিশাল কর্মী টিম কাজ করছে। উদ্যোক্তাদের উদ্যোগ ফ্লো-ওয়াটার সল্যুশন লিমিটেড রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও পৌঁছে গেছে তাদের এই উদ্যোগ।
উদ্যোক্তা আহমেদ ইমতিয়াজ বললেন, “ভবিষ্যতে সেবার মান সম্প্রসারণের পাশাপাশি তরুণদের জন্য বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করতে চাই, যাতে পানি নিরাপদকরণ উন্নত প্রযুক্তি ও প্রযুক্তি সম্পর্কে তরুণরা জানতে পারে এবং আগ্রহী হন”।
জেবুননেসা প্রীতি
এসএমই করেস্পন্ডেন্ট ,উদ্যোক্তা বার্তা