দেশসেরা জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত উদ্যোক্তা- সুলতানা নুরজাহান রোজী

অনার্স শেষ করার সাথে সাথে উদ্যোক্তা হবার পথে হাঁটা। জামালখান রোডে ফারহানা তে একটি কোর্স করলেন বেকারি এর ওপর। দুইটি ব্যাসিক কোর্স সম্পন্ন করলেন নুরজাহান রোজি। ৭ টি নতুন আইটেম যোগ হলো উদ্যোক্তা রোজির বেকারি ফাস্ট ফুড আইটেমে।যেকোনো পারিবারিক বড় উৎসবে শত শত পিস পিঠা,বেলা বিস্কুট,বাকরখানি, টোস্ট অর্ডার নিতেন উদ্যোক্তা নুরজাহান রোজি।

ছাদের ওপরে ২০ স্ক্যায়ার ফিটকে বড় করা হয়।২ টি রুমের একটি ছোট্ট ফ্যাক্টরি হয়ে গেল উদ্যোক্তার উদ্যোগ। প্রথমে তন্দুর চুল্লি এবং বাংলা ওভেন বসালেন। নিউ ডিজাইনে করে নিলেন নুরজাহান তার চুল্লীগুলো। মারকি আইটেমে উদ্যোক্তা নতুন স্বপ্ন আঁকেন। একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে যোগ দিলেন উইমেন ইন্টারপ্রিনিউর এসোসিয়েশন এ।

বিজনেস মডিউল,কস্টিং, প্রাইসিং সবকিছুর ওপর সম্যক ধারনা পেলেন সুলতানা নুরজাহান রোজি। চলার পথ হলো শাণিত।উদ্যোক্তা ইতিমধ্যে তার এম.বি.এ. সম্পন্ন করে ফেলেছেন। ‘৯৭ সালে ঘরোয়া উদ্যোগ থেকে বানিজ্যিক উদ্যোগে পরিণত হলো উদ্যোক্তার নতুন উদ্যোগ “তানজুর ফুড”। ২০০০ সালে লাইসেন্স নিয়ে বেকারি এর আইটেমে পদার্পণ করলেন উদ্যোক্তার প্রথম হাতেখড়ি বেলা টোস্ট দিয়ে।একে একে যুক্ত হলো চানাচুর, গার্লিক টোস্ট, বাটার বান, কেক, বন পাউরুটি, ড্রাই কেক, কুকিস।পাউন্ডে পাউন্ডে বিক্রি হতে থাকলো বেকারি আইটেম। পিস থেকে পিসে বাড়তে থাকে উদ্যোক্তার উৎপাদন।শত শত পিস থেকে হাজার পিসে।

২০০২ সাল,উদ্যোক্তার উদ্যোগের বিস্তৃতি ঘটতে থাকে। চিটাগাং “মেট্রো”।চিটাগাং মেট্রো ছাড়িয়ে দক্ষিণে পটিয়া ছাড়িয়ে কক্সবাজারের হাট-হাজারি থেকে খাগড়াছড়ি পর্যন্ত ৭ জন ডিলার, ৮টি উপজেলা । রাত ৩.৩০ টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত একটি শিফ্ট। ২য় শিফ্ট দুপুর ২ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত। অনেক কর্মীর কর্মসংস্থান হতে শুরু করলো এবং বাড়তে থাকে উৎপাদন। ৪জন নারীকে সঙ্গে নিয়ে যাত্রা শুরু করে দৃঢ় মনোবল নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন একজন নারী উদ্যোক্তা। মাত্র ২০ স্কয়ার ফিটে কাজ শুরু করে আজ কাজ করছেন তিন হাজার স্কয়ার ফিটে। হয়েছেন সমাজের এবং দেশের একজন সফল উদ্যোক্তা। কর্মসংস্থান সৃস্টি করেছেন ২০০জন কর্মীর ২০১৬ সালে অর্জন করেন এস.এম.ই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বর্ষসেরা নারী উদ্যোক্তা সম্মাননা।

ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here