ডিগ্রি পাশ করে মাত্র এক হাজার টাকা নিয়ে যাত্রা শুরু করেন আইরিন পারভীন। ভীষণ ইচ্ছে ছিলো নিজের টাকা দিয়ে কিছু শুরু করার। প্রথম ডিজাইন করা ৪ টি পোশাক, ফতুয়া এবং পাঞ্জাবী ‘সাদা কালো’ নামে যে বড় ফ্যাশন ডিজাইন হাউজ আছে, সেখানে দিবেন। এমন প্রত্যয় ছিলো উদ্যোক্তা আইরিন পারভীনের।
ডিজাইন বানিয়ে নিয়ে গেলেন বনানীতে। ৪টি ডিজাইনই সিলেক্ট হয়ে গেলো। পর্যায়ক্রমে অর্ডার আসতে শুরু করলো। ‘সাদা কালো’র বেশ কিছু ডিজাইনে কাজ করলেন। চিন্তা করলেন এই ‘সাদা কালো’ ফ্যাশন হাউজের সাথেই যে আমি একজন উদ্যোক্তা হতে পারি।
তারপর ‘বিবি আনা’ থেকে অর্ডার আসলো। এবং তারা পোশাক নিতে শুরু করলো। আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেলো উদ্যোক্তা আইরিন পারভীনের।
দেশবরেণ্য ডিজাইনার লিপি খন্দকারের কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি ডিজাইন এবং কালার কম্বিনেশনের জ্ঞান এবং উৎসাহ লাভ করেন আইরিন।
কারুপল্লীতে পোশাকে নিজের ডিজাইন দেয়া নেয়া শুরু হলো, হাতের কাজ এবং মেশিনের কাজ মিলিয়ে উদ্যোক্তার সাথে ৫০ জন কর্মী কাজ করতে শুরু করলো। ধীরেধীরে বিভিন্ন মেলায় আরো কয়েকটা কাজ করা হলো।
রূপায়ন মহিলা উন্নয়ন সংস্থাতে যে কর্মীরা প্রশিক্ষণ পেয়ে উদ্যোক্তার কাছ থেকে দক্ষ কর্মী হয়ে ওঠেন তারা সকলে আজ আত্মকর্মসংস্থান করে নিয়েছেন এবং বেশ কিছু কর্মী উদ্যোক্তার পথচলাকে আরো সহজ করেছেন তার পোশাক তৈরিতে যোগ দিয়ে।
উদ্যোক্তা ধীরেধীরে বাইরের অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিলেন। ২০১১ সালে জয়ীতাতে ১৮০টি স্টল দেয়া হয় সেখানে ধানমন্ডির ২৭ নাম্বারের রাফা প্লাজার ওপর সরকার থেকে দেয়া হয় নারী কর্মসংস্থান উন্নয়নে। সেই ভুবনটিতে উদ্যোক্তা স্টল পেলেন, এ ৩১।
শাড়ি,মেশিন এমব্রয়ডারি, হাতের কাজ, সুঁই সুতার কাজ, হ্যান্ড পেইন্ট, মসলিন হ্যান্ড পেইন্ট,এবং ব্লক বাটিক, সালোয়ার কামিজ, টপ, অয়ান পিসে উদ্যোক্তা গড়ে তুললেন নিজের পছন্দের ভুবন। বেড শিট, কুশন কাভার, নকশী কাঁথা, শতশত কর্মীর কর্মসংস্থান আজ উদ্যোক্তাকে জানান দেয় সফলতার কথা।
মাত্র ১০০০ হাজার টাকা নিয়ে যাত্রা শুরু করে বর্তমানে প্রায় ৭০ জন কর্মী, তাদের কর্মসংস্থান এবং তার ফ্যাক্টরি, সব কিছু মিলিয়ে সফলতার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করছেন উদ্যোক্তা আইরিন পারভীন।
জেবুননেসা প্রীতি
এসএমই করেস্পন্ডেন্ট ,উদ্যোক্তা বার্তা