দেশের ঐতিহ্য ধরে রাখতে দু’দিনের পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে নারী উদ্যােক্তা। ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর উত্তরার হোয়াইট হলে শীতকালীন পিঠা উৎসবে ছিল ঐতিহ্যবাহী সব রকম পিঠা। পাশাপাশি ছিল নারী উদ্যোক্তাদের হরেক রকমের পণ্য।
মেলা প্রসঙ্গে আয়োজক নারী উদ্যোক্তা সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রোয়েনা আক্তার বলেন, ‘দেশের পিঠার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ মেলার আয়োজন। এছাড়াও উদ্যোক্তাদের এক ছাদের নীচে নিয়ে আসা যাতে তারা তাদের নিজস্ব পণ্যের প্রচার ও প্রসার ভালো মতো করতে পারেন। এরকম মেলা যে কোন তরুণ উদ্যোক্তার জন্য একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম।’
মেলায় অংশ নেওয়া উদ্যোক্তা তানিশা বলেন, ‘প্রতি বছর আমাদের মধ্যে অনেকেই এখানে আসেন পিঠা উৎসব করতে। আমরা চেষ্টা করি, ঐতিহ্যবাহী পিঠাকে সবার মাঝে পরিচিত করে দিতে। পাশাপাশি আমাদের নিজেদের প্রতিষ্ঠানও ব্যাপক সাড়া পায়।’
পারুল আক্তার নামে একজন দর্শনার্থী বলেন, ছোট বেলায় গ্রামে থাকতে অনেক পিঠা খাওয়া হতো। তবে শহরে আসার পরে তা অনেকটা কমে গেছে। এভাবে শহরে পিঠা পাওয়া আমার মতো পিঠা রসিকদের জন্য অনেকটাই আনন্দের বিষয়।
উৎসবের শুরু থেকেই ভিড় করেছে তরুণ-তরুণী আর পিঠা রসিক মানুষ। বাড়িতে এতো সব পিঠা তৈরি করার ঝামেলা এড়াতে এখান থেকে পিঠা বাসায় নিয়ে যেতে দেখা যায় অনেককে।
পিঠা উৎসবে পিঠা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে অংশ নিয়েছেন অনেক উদ্যোক্তা। তাদের পণ্যের মধ্যে ছিল সালোয়ার-কামিজ, মসলিমের শাড়ি ও গহনা।
উৎসবে স্পন্সর পার্টনার হিসেবে ছিল চকো রিলিস, টেস্টি ইম্মামি ফুড, এডুকেশন ট্রেনিং পার্টনার অর্জয়িতা। আর পিঠা মেলা পাওয়ার্ড বাই একবাজ।
মেহনাজ খান,
উদ্যোক্তা বার্তা