‘পর্যটনে নতুন ভাবনা’ প্রতিপাদ্যে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হলো বিশ্ব পর্যটন দিবস। পর্যটনের ভূমিকা সম্পর্কে জনসাধারণকে জানাতে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উপযোগিতাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়াই দিবসটির লক্ষ্য।
জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার (ইউএনডব্লিউটিও) উদ্যোগে ১৯৮০ সাল থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হয়ে আসছে।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন।
প্রতি বছরের মতো এবারও পর্যটন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডসহ বিভিন্ন পর্যটন সংস্থা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সকাল সাড়ে ৭টায় বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২২ এর কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো: মাহবুব আলী এমপি। তিনি বলেন, দেশের পর্যটন শিল্পকে পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। এ বছরই ডিসেম্বরে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শেষ হবে। ট্যুরিজম মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের পর্যটন নতুন যুগে প্রবেশ করবে।
তিনি আরও বলেন: পর্যটনের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক। তার নেতৃত্বে পর্যটনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমরা কাজ করছি। সবাই মিলে একসাথে কাজ করলে আমাদের নির্দিষ্ট যে উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, দ্রতই সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো। দেশের পর্যটনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।
দিবসটি উপলক্ষে পর্যটন ভবন থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
সেসময় পর্যটন ভবনের নীচতলার উন্মুক্ত স্থান ও রাস্তার আইল্যান্ডে খাবারের ষ্টলগুলোতে বৈচিত্র্যময় রেসিপি ও বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নানারকম খাবার, পানীয় ও পিঠা-পায়েস ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেন্যুর খাবার পরিবেশন করা হয়। খাদ্য উৎসবটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল। খাবার আইটেমগুলো স্বল্প মূল্যে বিক্রয় করা হয়েছে।
লাইভ কুকিং শো ছাড়াও বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে পর্যটন কর্পোরেশনের ভ্রমণ ইউনিট ছাত্র-ছাত্রী এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য স্বল্পমূল্যে ও বিনামূলো তিনটি সিটি ট্যুর পরিচালনা করেছে।
২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মনোরম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছে।
আফসানা অভি
উদ্যোক্তা বার্তা