অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়াকালীন উদ্যোক্তা হবার ভাবনাটা মাথায় চেপে বসে তিথী আক্তারের। হাতে বানানো গয়নার মধ্য দিয়ে তিনি তার উদ্যোগের যাত্রা শুরু করেছিলেন। মাত্র ৭০০ টাকা পুঁজি নিয়ে তিনি এই যাত্রায় পথচলা শুরু করেন। বছর দুয়েক পরে ধীরে ধীরে তিনি তার পণ্যের ক্যাটেগরি পরিবর্তন করেন।
বর্তমানে তিনি কাঠের লুডু বোর্ড, হোম ডেকোর আইটেম, বাচ্চাদের খেলাচ্ছলে শিক্ষাদানের খেলনা, ডোরপ্লেট, নেমপ্লেট ইত্যাদি নিয়ে কাজ করছেন। এযাবৎ তার ফার্মের সম্পূর্ণ কাজ তিনি একাই সামলে আসছিলেন কিন্তু বর্তমানে তিনি কর্মী নিয়োগ সম্পর্কে ভাবছেন। তার উদ্যোগটি সম্পূর্ন অনলাইন নির্ভর। প্রতিষ্ঠানের নাম রেখেছেন ‘পৃথক’। পৃথকের সবচেয়ে জনপ্রিয় পণ্য লুডু বোর্ড যা দেশ-বিদেশের নানান মানুষের নজর কেড়েছে।
তার প্রতিষ্ঠানের শতকরা ৯০ ভাগ পণ্য বর্তমানে বিদেশে পাড়ি জমায়। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পণ্য যায় ঢাকায়, এছাড়াও সারাদেশেই তার পণ্য যাচ্ছে। যেহেতু পণ্যগুলি তৈরি করা বেশ সময় সাপেক্ষ তাই মাসে গড়ে ২৫ বা তার অধিক পণ্য উৎপাদন করেতে সক্ষম হন। গড়ে ৪০ হাজার টাকা মাসিক বেচাকেনা হয়।
উদ্যোক্তা তিথী আক্তার বরবরই সৃজনশীল কাজের প্রতি একটু বেশি আগ্রহী। যেকোনো কিছুতে একটু ভিন্নতা একটু নতুনত্ব আনার চেষ্টায় সব সময় কাজ করেছেন সেই ছোট্টবেলা থেকে। নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতেই তিনি উদ্যোক্তা হবার পথ বেছে নিয়েছেন। রংতুলির প্রতি তার আগ্রহ ছোটবেলা থেকে। এর মাঝে তিনি তার আনন্দ খুজে পান। আর তাই উদ্যোগকে চালিয়ে নিতে তিনি হ্যান্ডপেইন্টকে বেছে নিয়েছেন। ভবিষ্যতে তিনি ব্যবসার পরিধি বিস্তৃত করে ‘পৃথক’কে একটি ব্রান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান।
উদ্যোক্তা তিথী আক্তারের বাবা পেশায় ব্যবসায়ী, মা গৃহিনী। তিনি পরিবারের তৃতীয় সন্তান। তার বেড়ে ওঠা খুলনায়। স্কুল জীবনে প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংক স্টাফ কোয়ার্টার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি, পরবর্তীতে ইকবাল নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি সম্পন্ন করেন। এরপর সরকারি মজিদ মেমরিয়াল সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স শেষ করেছেন। এখনো কোনো চাকরিতে যুক্ত হননি।
সাইদ হাফিজ,
উদ্যোক্তা বার্তা