রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে অনুষ্ঠিত হলো মেটার সৌজন্যে ডিজিটাল অন্টারপ্রেনিউরশিপ এন্ড কমিউনিটিস সামিট ২০২২। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এমপি।
৯ মে সোমবার অনুষ্ঠিত আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন মেটা’র এশিয়া প্যাসিফিক ভাইস প্রেসিডেন্ট ফর পাবলিক পলিসি সায়মন ম্যালনার। ভার্চুয়ালি যুক্ত হন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, এমপি। অনুষ্ঠানে এছাড়াও হেড অফ ই কমার্স, এটুআই, রেজোওয়ানুল হক জামি, বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র ডিরেক্টর রিদিমা খান এবং শেফ এন্ড ফুড কনসালটেন্ট সামিরা ওয়াদুদসহ উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান বলেন, “ভবিষ্যতে আইটি সেক্টর ২য় গার্মেন্টস সেক্টর হয়ে দাঁড়াবে। সরকার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছে উদ্যোক্তাদের জন্য। উদ্যোক্তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বাধীনভাবে কাজ শুরু করতে পারছে এবং ভবিষ্যতে আরো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে পারবে।”
তিনি মেটা এবং তার পার্টনারদের ধন্যবাদ এবং উদ্যোক্তাদের জন্য শুভকামনা জানান।
আয়োজনে প্যানেল ডিসকাশনে উদ্যোক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৈসর্গিক এর স্বত্বাধিকারী কাজী শবনম, মনামি ভার্স এর স্বত্বাধিকারী সানজিদা শিমু, ঘূর্ণি বাই পান্থি‘র স্বত্বাধিকারী কানিজ ফারহিন পান্থি এবং ডিজিটাল সেবাঘর থেকে উপস্থিত ছিলেন খালেদা ইয়াসমিন।
প্যানেল আলোচনায় উদ্যোক্তারা তাদের উদ্যোগ এবং উদ্যোগ পরিচালনায় অনলাইনের বিভিন্ন সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। সেসঙ্গে ডিজিটাল প্লাটফর্মে কী ধরনের কার্যক্রম থাকলে উদ্যোক্তাদের জন্য আরো কার্যকর হয়– সেই বিষয়েও তারা মতামত প্রকাশ করেন।
এশিয়া প্যাসিফিক মেটা’র পক্ষ থেকে সায়মন ম্যালনার বলেন, “একটা সময় মনে করা হতো যে বাংলাদেশের নারীরা উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। কিন্তু পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, করোনাকালীন সময়ে নতুন উদ্যোগের ৭০ শতাংশই নারীরা করেছেন। কোভিডের ভয়াবহতার মাঝেও তারা দারুণভাবে দেশে-বিদেশে তাদের উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। আমি এদেশের নারীদের উদ্যোক্তা না হতে পারার কোনো কারণ দেখি না। আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে আমাদের সেবাকে আরো সহজলভ্য করা যায় এবং আমাদের ভুলত্রুটিগুলো আমরা প্রতিনিয়ত সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি।”
দেশে উদ্যোক্তা তৈরি এবং তাদের সহযোগিতার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে মেটা। বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার জন্য একটি ডিজিটাল ইকো সিস্টেম গড়ে তোলার পাশাপাশি সহযোগী অংশীদার হওয়া তাদের অন্যতম প্রতিশ্রুতি। আইসিটি ডিভিশন, বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং লাইট ক্যাসলের সাথে যুক্ত হয়ে মেটা উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করছে। তার মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষণ, গবেষণা এবং ব্যবসায় সম্প্রসারণে নানারকম প্রকল্প।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটস অ্যাপের মতো মেটা অ্যাপ ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে উদ্যোক্তারা তাদের উদ্যোগ পরিচালনা করে থাকেন। উদ্যোক্তারা ফেইসবুক বা ইনস্টাগ্রামে শুধু তাদের পণ্য উপস্থাপন করে না, বরং তারা বাংলাদেশের ব্র্যান্ড, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং সৃজনশীলতাও প্রচার করে থাকে।
মেটা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহারের সুযোগের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ এবং উদ্যোগ সফলভাবে উন্নত ও পরিচালনা করতেও সহায়তা করে। সম্প্রতি নারী দিবসে মেটা এবং তার সহযোগী অংশীদাররা “শি মিনস বিজনেস” নামে একটি প্রজেক্ট চালু করেছে। এটি মূলত নারীদের নিয়ে একটি প্রকল্প, যেখানে বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশ যুক্ত হয়েছে৷ ইন্টারনেট সুবিধার মাধ্যমে সারাবিশ্বে উদ্যোক্তাদের পণ্য পৌঁছে দিতে এবং আর্থিক উন্নতির জন্য এই প্রজেক্টটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে৷
ডিজিটাল অন্টারপ্রেনিউরশিপ এন্ড কমিউনিটি সামিট ২০২২ আয়োজনে পার্টনার হিসেবে ছিল এ টু আই, বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং লাইট ক্যাসল পার্টনার।
সেতু ইসরাত,
উদ্যোক্তা বার্তা