এসএমই’র উন্নয়ন করে বৈষম্য কমিয়ে আনতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু

0

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, শুধু মুনাফা করাই ব্যাংকের কাজ নয়, জাতীয় দায়িত্বও তাদের পালন করা উচিৎ।

তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলোকে অবশ্যই জাতীয় দায়িত্ব পালন করতে হবে। সেজন্যই তাদের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। নগরাঞ্চলে বড় গ্রাহকদের ঋণ দিয়ে শহর-গ্রামের মধ্যে বৈষম্য বাড়ানো ব্যাংকের কাজ নয়। বরং উন্নয়ন সুষম করা তাদের দায়িত্ব।’

শিল্পমন্ত্রী আজ রোববার রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (এফবিসিসিআই) কার্যালয়ে ফেডারেশন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর এসএমই উন্নয়ন ভাবনা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব বথা বলেন।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মাসুদুর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এফবিসিসিআই’র প্যানেল উপদেষ্টা ও সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ‘বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের মোট বিতরণ করা ঋণের মাত্র ১৮ শতাংশ দেয় দেশের এসএমই খাতে। যা পায় মাত্র ৯ শতাংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান। বাকি ৯১ শতাংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাই ব্যাংক ঋণের সহায়তা বঞ্চিত। এছাড়াও গত কয়েক বছরে ব্যাংকের মোট ঋণের অনুপাতে এসএমই ঋণের হার কমেছে। যা দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।’

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে এসএমই’র উন্নয়ন করে বৈষম্য কমিয়ে আনতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। দেশের বর্তমান ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের পেছনে এসএমই খাতের বিকাশ না হওয়াকে দায়ী করে মূল প্রবন্ধে আরো বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের হিসাবে দেশের এসএমই ঋণের সম্ভাব্য বাজার ২৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। কিন্তু ব্যাংকের ঋণ কাঠামোতে এসএমই খাত অবহেলিত। এই বিশাল লাভজনক খাতে ব্যাংকগুলো নজর দিচ্ছে না।

শিল্পমন্ত্রী ব্যাংকগুলোর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শুধু ডলার বিক্রি করে লাভ করার জন্য এতগুলো ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হয়নি। এটা নৈতিকতার মধ্যে পড়ে না।

তিনি বলেন, এসএমই নিয়ে সবাই কথা বলে, কিন্তু কোন কাজ করে না। সরকারি পর্যায়ের সীমাবদ্ধতাগুলো দ্রুত কাটিয়ে ওঠার আশ্বাস দিয়ে মন্ত্রী বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনকে আর্থিকভাবে সক্ষম করতে হবে।

অন্যান্যের মধ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান ও এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ ও ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে প্রতি বছরে ২০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। এজন্য প্রধান ভূমিকা পালন করবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাত। জসিম উদ্দিন এসএমই খাতের সমৃদ্ধায়নে ব্যাংকগুলোকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। প্রয়োজনে খাতভিত্তিক সমিতি ও জেলা চেম্বারের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ঋণ দেয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে আহ্বান জানান তিনি।

এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, মো. হাবীব উল্ল্যাহ ডনসহ পরিচালকরা সেসময় উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।

ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here