কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের হোটেল লাবণী প্রাঙ্গণে চলছে মাসব্যাপী হস্তশিল্প মেলা। শুক্রবার (১৩ মে) মেলা উদ্বোধন করেন পর্যটন কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ সফিউজ্জামান ভূঁইয়া। সেসময় উপস্থিত ছিলেন পর্যটন কর্পোরেশনের ডেপুটি ম্যানেজার রায়হান উদ্দিন আহমেদ। মেলায় পাটজাত পণ্য, তাঁতের কাপড় ও হস্তশিল্পের নানা সামগ্রীর সমাহার ঘটেছে।
মেলা উদ্বোধন করে মোহাম্মদ সফিউজ্জামান ভূঁইয়া বলেন “পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়াতে হবে জনগণকে এ ব্যাপারে এরকম আরও মেলা আয়োজনের মাধ্যমে সচেতন করতে হবে, তবেই প্লাস্টিকের ব্যবহার কমবে। পাটজাত পণ্য পরিবেশের ক্ষতি করে না, আমরা যেন বেশি বেশি পাটের তৈরি পণ্যসামগ্রী ব্যবহার করি।”
তিনি উদ্যোক্তাদেরকে কক্সবাজারে পাটজাত সামগ্রীর একটি স্থায়ী বিক্রয়কেন্দ্র খোলার আহবান জানান।

মেলায় সারি সারি স্টল স্টলে শোভা পাচ্ছে হরেক রকম রঙ-বেরঙের পণ্য। কোন স্টলে রয়েছে ল্যাপটপ, স্কুল বা মোবাইল ব্যাগ, আবার অন্য কোনো স্টলে রয়েছে শপিং, হ্যান্ড, গ্রোসারি বা মানি ব্যাগ। আবার অনেক স্টলে রয়েছে বিজনেস, ম্যাগাজিন ও পেপার হোল্ডার, বক্স ফাইল, টিস্যু বক্স কভার, ডেস্ক ক্যালেন্ডার। এ ছাড়া রয়েছে বেড, কুশন, সোফার কভার, কম্বল, পর্দা, টেবিল রানার, টেবিল ম্যাট, কার্পেট, ডোর ম্যাট, শতরঞ্জি এবং পরিধেয় বস্ত্র ব্লেজার, ফতুয়া ও শাড়ি। এসব পণ্য সবই তৈরি হয়েছে পাট দিয়ে, যা দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। আর বহুমুখী পাটপণ্যের সঙ্গে ক্রেতাদের পরিচয় করাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।
ঢাকা থেকে এসে মেলায় স্টল করেছেন উদ্যোক্তা আখতারুজ্জামান তুষার। তিনি এরকম উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

পাটজাত পণ্য নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা রাফি ক্রাফট এর কর্ণধার উদ্যোক্তা মামুন মিয়া বলেন, “ঈদ পরবর্তী এ ধরনের আয়োজন আমাদের উদ্যোক্তাদের জন্য খুবই প্রয়োজন ছিলো।কক্সবাজারের মতো এতো মনোমুগ্ধকর পরিবেশে এই আয়োজনটা পরিবেশ উন্নয়নেও বড় একটা মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।”
মাসুমা শারমিন সুমি
উদ্যোক্তা বার্তা