শিক্ষকতার পাশাপাশি একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে শিক্ষিত সমাজের চিত্র পাল্টে দিতে চান শিক্ষিকা সাবিনা রাহাত। করোনাকালীন আত্মীয় স্বজনের বাসায় বিরিয়ানি, কেক ডেলিভারি দেওয়া থেকে তার যাত্রা শুরু হয় এবং বর্তমানে তা একটি বিশালাকার উদ্যোগ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথে।
বিজনেস এর শিক্ষার্থী হওয়ায় তার মাঝে উদ্যোগ নেওয়ার বা নতুন কিছু করার বাসনা সেই শিক্ষাজীবন থেকেই। তারপর থেকে উনি মাঝে মাঝেই চেষ্টা করতেন নতুন কিছু করার। এরপর তার সেই সুযোগ আসে করোনার এই সময়ে। এই সময় যখন সারাদেশে লকডাউন ঠিক তখনই একজন সাবিনা রাহাত আত্মপ্রকাশ করেন কেক, বিরিয়ানি সহ নানা প্রকার খাবার নিয়ে। এরপর যখন তার এই চাহিদা বাড়তে থাকে তখন তিনি তার এই উদ্যোগ আরও বৃহৎ আকারে নেওয়ার জন্য সাহস পান এবং পেইজ খুলে ফেলেন যেখান থেকে অর্ডার নেন এবং সরবরাহ করেন। ধীরে ধীরে আজকের সফল শিক্ষিকা এবং সফল উদ্যোক্তা সাবিনা রাহাতের আত্মপ্রকাশ হয়েছে।

এরপর তার পরবর্তী বাসনা জানান তিনি আমাদের। “আমার ইচ্ছা হলো আমার এই কেকশপ একদিন বাংলাদেশের সেরা শপ হবে এবং আমি উদ্যোক্তাদের সাথে, তাদের পাশে থেকে তাদের একসাথে নিয়ে এগিয়ে যাব। পুরো দেশের আউটলেট থেকে দেশের মানুষের কর্মসংস্থান হবে। শুধু তাই নয় আমার ইচ্ছা আছে ভবিষ্যতে বুটিক শপ এর মাধ্যমে বুটিক শিল্পে অবদান রাখা এবং দেশের অনেক মানুষের না পারি কিছু মানুষের কর্মসংস্থান দেওয়ার ব্যবস্থা করা।”
তিনি এই সময়ে দাঁড়িয়ে মানুষের ভালোবাসা পেয়ে যাচ্ছেন এবং সেটা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছেন। স্বপ্নবাজ এই মানুষটা স্বপ্ন দেখছেন দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য।তার মতো মহৎ মানুষদের জন্যই আমাদের সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে বলে প্রতিয়মান হচ্ছে। তিনি স্বপ্ন দেখেন পরিবর্তনের, স্বপ্ন দেখেন নতুনের। তিনি চান যাতে দেশের শিক্ষিত মানুষেরা পড়াশোনার পাশাপাশি ছোট খাটো উদ্যোগগুলো নেওয়া শুরু করে যেখান থেকে নিজের, পরিবারের, সমাজের এবং এক পর্যায়ে দেশের হাল ধরবে।
সাকিব মাহমুদ
উদ্যোক্তা বার্তা