বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টার্স আস্যোসিয়েশন বিসিআরএ ২৭ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে প্রদান করা হলো বিসিআরএ অ্যাওয়ার্ড ২০২২।
সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের বিবেচনায় ২০২২ এর সেরা টিভি অনুষ্ঠান নির্বাচিত হলো চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত ‘উদ্যোক্তা’। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিআরএ)-এর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বিসিআরএ অ্যাওয়ার্ড ২০২২-এ সেরা টিভি প্রোগ্রাম হিসেবে চ্যানেল আই এর জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘উদ্যোক্তা’র নাম ঘোষণা করা হয়।
অপু মাহফুজের উপস্থাপনা ও পরিচালনায় ২০১৪ সালের মহান মে দিবসে শুরু হয় উদ্যোক্তা অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করে অনন্য অবদান রেখে চলায় চ্যানেল আই-এর উদ্যোক্তা অনুষ্ঠানকে সাধুবাদ জানানো হয়।
দেশ এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বময় বাংলাদেশের এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের ও শিল্পখাতের অগ্রযাত্রাকে উদ্যোক্তা ও কর্মীদের জীবনমান বদলে দেওয়ায় গণমাধ্যমের নিয়মিত এই অনুষ্ঠান উদ্যোক্তাকে প্রদান করা হয় বিসিআরএ ভিক্টোরি অ্যাওয়ার্ড।
অনুষ্ঠানের প্ল্যানিং, উপস্থাপনা ও পরিচালনা বিভাগের টিম উদ্যোক্তার পক্ষ থেকে অপু মাহফুজকে বিসিআরএ ভিক্টোরি অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এমপি।
বিসিআরএ সভাপতি অভি চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান এমপি। বক্তৃতা করেন জাকিয়া পারভীন মণি এমপি, নাগরিক ঢাকার সভাপতি এম নাঈম হোসেন, এটিএন বাংলার উপদেষ্টা তাশিক আহমেদ এবং অনন্যা রুমা।
পদকে ভূষিত অপু মাহফুজ একজন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। ২০১৪ সালে দেশের শীর্ষস্থানীয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল আইতে এসএমই উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠান শুরু করেন, যা টেলিভিশনে দেশের এসএমই শিল্পের উপর প্রথম অনুষ্ঠান। এখন পর্যন্ত, অনুষ্ঠানটি ৪৫০ এর বেশি পর্ব সম্প্রচারের মাইলফলক ছুঁয়েছে।
সাপ্তাহিক অনুষ্ঠানটির ২৫ মিনিটের একেকটি পর্ব বাংলাদেশে এসএমই এবং সিএমএসএমই সেক্টরকে পুনরায় পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। চ্যানেল আইয়ের উদ্যোক্তা অনুষ্ঠানটি আজ পর্যন্ত দেশের প্রথম এবং সম্পূর্ণ CMSME ভিত্তিক একমাত্র শো।
অপু মাহফুজের হাতে পদক তুলে দেন এবং বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংস্কৃতির তথ্য দেশ ও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে সংস্কৃতি বিষয়ক সাংবাদিকতা অত্যন্ত গুরুত্ববহ। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
তিনি আরও বলেন, ‘পাড়ায় পাড়ায় সংস্কৃতিচর্চা আর দেশজুড়ে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়তে হবে।’
পদক প্রাপ্তির অনুভূতি প্রকাশ করে অপু মাহফুজ বলেন, ‘আমি এমন একটি কাজ করতে চেয়েছি যে কাজে শুধু আমার নয়, বাংলাদেশের কিছু হয়। কেননা যে দেশ আমার এবং আমাদের জন্য এতো কিছু করেছে, সেই দেশের প্রতি আমার দায় আছে। সেই থেকেই ভিন্ন কিছু করবার চেষ্টা।’
অপু মাহফুজ তার বক্তৃতায় বলেন, ‘২০২৪ সালের মধ্যে জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান ৩২ শতাংশে উন্নীত হলে বাংলাদেশ একটি দারুণ শক্তিশালী দেশ হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা একটি বিশাল কর্মী বাহিনি ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে কাজ করে যাচ্ছি। আপনারা যে অ্যাওয়ার্ডটি দিয়ে আমাদের অনুপ্রাণিত করলেন, আমরা সেই অ্যাওয়ার্ডটি দেশের এক কোটি ২০ লাখ এসএমই উদ্যোক্তাকে উৎসর্গ করছি।’
অনুষ্ঠানে চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, সংগীতে শেখ সাদী খান, চলচ্চিত্রে কাজী হায়াৎ ও মঞ্চ-টিভিতে নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুকে আজীবন সম্মাননাসহ সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য অর্ধশতাধিক নির্বাচিতজনের হাতে বিসিআরএ অ্যাওয়ার্ড ২০২২ তুলে দেন ড. হাছান মাহমুদ। সংস্কৃতি অঙ্গনের বিভিন্ন শাখার তারকাদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে বিসিআরএ অ্যাওয়ার্ড ২০২২-এর আসর।
সেতু ইসরাত,
উদ্যোক্তা বার্তা