তিন উদ্যোক্তা- তানভীর ফাহাদ হক, মিরাজ হোসাইন এবং মেহেদী হাসান খান

তথ্য-প্রযুক্তির কোনো ভৌগোলিক সীমারেখা নেই। আগামী দিনের পরিবর্তিত ও আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলতে হলে উন্নত ও অনুন্নত দেশগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

উদ্ভাবন পরিকল্পনা, উদ্যোক্তা একাডেমি প্রতিষ্ঠা, হাইটেক পার্ক প্রকল্প অনুযায়ী শ্রমিক তৈরী ও ইনোভেশন সেন্টার প্রকল্প স্থাপনে যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণ, আইটি প্রশিক্ষণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি, তরুণ প্রজন্মের সক্ষমতা অর্জন এবং তথ্য-প্রযুক্তি উন্নয়ন ও বিকাশে বর্তমান প্রজন্মের তরুণ উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। করোনা মহামারীর প্রভাবে ব্যবসায় নানা পরিবর্তন এসেছে। মূলত সে কারণেই চলতি বছর তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বাড়তে চলেছে ব্যয়। আর তা বেড়ে ৩ লাখ ৯০ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় দেশে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের যুগের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে। ৫জি প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়েছে। হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার খাতে বাংলাদেশ ভালো করছে। সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে।

এখন ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভল্যুশন, আইওটি, বিগডেটা, রোবোটিকস, ব্লক চেইনের মতো নতুন প্রযুক্তি আসছে। এসব প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে হবে। আমাদের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার খাত বড় চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এখন থেকেই সচেতন করতে আইসিটি খাতে তরুণ উদ্যোক্তাদের কার্যকরী অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

আজকের উদ্যোক্তা বার্তায় আমরা তুলে আনবো এমন তিনজন উদ্যোক্তাকে যারা প্রযুক্তি খাতে তাদের স্বপ্নগুলোকে দেশের সকল উদ্যোক্তাদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান। ভিন্ন পটভূমিতে অবস্থান করা ৩ জন উদ্যোক্তার সকলেই বাংলাদেশি নাগরিক। বনানীর আউয়াল সেন্টারে কথায় কথায় উঠে আসে তাদের আজ ও আগামী দিনের স্বপ্ন ভাবনা। ‘Bae Innovations’ একটি কানাডিয়ান-বাংলাদেশী সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট হাব। যা ব্যবহারকারীদের বিশ্লেষণ, নকশা এবং সম্পূর্ণ পণ্য বিকাশে নতুন যুগের উদ্যোক্তাদের স্টার্টআপ এবং ব্যবসার প্রসারে সহায়তা করে থাকে। ‘Bae Innovations’ তাদের কাজের দক্ষতা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এবং এন্টারপ্রাইজ সমাধানগুলোয় নিহীত।

‘Bae Innovations’ এ তিনজনের সহ-প্রতিষ্ঠাতার মধ্যে একজন চিফ টেকনোলজি অফিসার তানভীর ফাহাদ হক ঢাকায় বাস করেন এবং এখান থেকে সমগ্র বাংলাদেশের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। আরেকজন ‘Bae Innovations’ এর সিইও মিরাজ হোসাইন আবুধাবি থেকে ব্যবসা পরিচালনা করছেন এবং অন্য সহ-প্রতিষ্ঠাতা মেহেদী হাসান খান চিফ ইনোভেশন অফিসার যিনি কানাডা থেকে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা পরিচালনা করছেন।

পৃথিবীর বিভিন্ন সমৃদ্ধ এবং সাংস্কৃতিক পটভূমি থেকে পরিচালিত হওয়ায় এই কোম্পানির বিদেশে রয়েছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। তারা বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গ্রাহককে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি বিগত ২ বছরে বাংলাদেশে সাফল্যের সঙ্গে পদ চিহ্ন রেখে চলছে তাদের কাজের মাধ্যমে। পাশাপাশি ‘Bae Innovations’ এর কার্যক্রম সারা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিবীড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে তিন সহ-প্রতিষ্ঠাতা।

গ্রাহকদের জন্য দুর্দান্ত পণ্য এবং পরিসেবা তৈরি করে উচ্চ সেবামান দিতে সক্ষম হয়েছে ‘Bae Innovations’। প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাদের ভাষ্য হচ্ছে- এই তরুণ দল বিশ্বাস করে যে কার্যকরভাবে তারা যে ধরণের গ্রাহকদের পরিসেবা দিয়ে থাকেন। যার ফলে বাজারে তাদের যে ধরণের কাজের মান ও গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে।

প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে আগামী দিনে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রযুক্তি জগতে VC (Venture Capital) হয়ে উঠবে। ‘Bae Innovations’ বাংলাদেশের সকল প্রযুক্তিগত স্টার্টআপগুলোকে প্রযুক্তি পরামর্শ এবং সহায়তা দিয়ে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যুক্ত করতে চায়।

এ কারণেই উদ্যোক্তারা বলে থাকেন- ‘আমরা এখানে বে ইনোভেশনগুলোতে স্বপ্ন বিক্রি করি।”

ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here