চাকরি করে ঘর সামলিয়ে নিজেকে আরো একটু সাবলম্বী করতে ব্যবসায় নেমেছেন উদ্যোক্তা ফাহমিদা। ব্যবসা করার পরিকল্পনা ছিল আগে থেকেই। তাই বিভিন্ন জায়গা ঘুড়ে পণ্য দেখতেন এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতেন। পরিবার থেকেও পেয়েছেন সহযোগিতা, সাথে স্বামী মোহাম্মদ সাহেদ মাহবুব চৌধুরীর সহযোগিতায় মনোবলটা বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসার ক্ষেত্রে। ফাহমিদা সাহেদ পড়াশোনা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সাইন্সে।
শুরু থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দেশী পণ্য নিয়ে কাজ করবেন। কাজ করার পরিকল্পনা অনেক আগে থেকেই ছিল। কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন জায়গায় ঘুড়ে ঘুড়ে পণ্য দেখেছেন। তারপর ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে দেড় লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করলেন দেশীয় পণ্য নিয়ে ব্যবসা। পেজের নামও দিলেন “দেশজ শপিং প্যারাডাইস”। বর্তমানে ফাহমিদার মূলধন তিন লাখ টাকার মতো।
ফাহমিদা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে দেশীয় পণ্য সংগ্রহ করে । যেখানে যেটা ভালো বানায়। টাঙ্গাইল, সিলেট, রাঙামাটি, রাজশাহী, যশোর, জামালপুর, কুমিল্লা এসব জেলা থেকে নিজে গিয়ে সরাসরি তাঁতিদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে আনেন; শাড়ি, থ্রি-পিস, শীতের চাদর, বেড কভার, আদিবাসীদের তৈরি শাড়ি, ব্যাগ, বাঁশ ও বেতের তৈরী ঝুড়ি, শো-পিস, কাঠের বক্স ইত্যাদি বিভিন্ন রকম পণ্য পাওয়া যায় ‘দেশজ শপিং প্যারাডাইস’-এ। আদিবাসীদের হাতে বানানো হ্যান্ডপার্সগুলো যার সর্বনিম্ন মূল্য দেড়শত টাকা, আবার জামদানি শাড়ির দাম সবচেয়ে বেশী। শাড়ির সুতা এবং গুণগত মানের ওপর নির্ভর করে শাড়ির দাম।
ফাহমিদা উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, ‘বাধার সম্মুখীন হচ্ছি ক্রেতাদের পছন্দ নিয়ে। বর্তমানে আমাদের দেশের মার্কেট ৯০% দখল করে আছে বিদেশী পোশাকে। মাঝে মাঝে কিছু মেলা করি, তবে মেলায় বেশিরভাগ থাকে বিদেশী পোশাক, ক্রেতারাও তাই চায়! মেলায় প্রায় হতাশ লাগে ক্রেতাদের দেশী পণ্যের প্রতি অনীহা দেখে।’
তবে যারা দেশী পণ্যের মূল্য বোঝে তারা কিন্তু ভুল করছে না, আমাদের দেশী পণ্যই কিনছে। এখন ক্রেতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছেন ফাহমিদা সাহেদ। ভবিষ্যতে তাঁতিদের তৈরী পণ্যের পাশাপাশি নিজের তৈরী পণ্যও রাখবেন বলে জানান এই উদ্যোক্তা।
নতুন উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, সবাই যেন হুজুগে গা না ভাসিয়ে ব্যবসা করার প্রথমেই দেশের বাইরে থেকে পণ্য এনে বিক্রয় করার কথা না ভাবে। আমাদের দেশী পণ্য নিয়ে বেশী বেশী কাজ করা উচিত বলে মনে করেন ফাহমিদা।
খাদিজা খাতুন স্বপ্না