এই গল্পটি রাস্তা থেকে উঠে আসা একজন সফল উদ্যোক্তার। যিনি কঠোর পরিশ্রম আর সততার মাধ্যমে ভারতের সেরা উদ্যোক্তাদের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। তিনি হচ্ছেন ৫৩ বছর বয়সী রাজা নায়ক। প্রায় ৬০ কোটি রুপি বার্ষিক আয়ের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরী করেছেন এবং বর্তমনে কর্ণাটকের ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি হিসেবে কর্তব্যরত আছেন।
কর্ণাটকের একটি দরিদ্র পীড়িত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রাজা নায়ক এবং তীব্র আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠেন। এই অভাব অনটনের কারণে রাজা স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। এই দারিদ্র্য এতটাই তীব্র আকার ধারণ করেছিল যে তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে বাসা ছেড়ে পালিয়ে যান। তিনি অবশ্য তার পরিবারকে সহায়তা করার জন্যই কাজের সন্ধানে মুম্বাই গিয়েছিলেন। তবে সেখানে কাজ পাওয়া অনেক কঠিন ব্যাপার ছিল, তাই তিনি আবারো বাড়িতে ফিরে আসেন।
এতদিনে তিনি বুঝে গিয়েছিলেন যে বেঁচে থাকতে হলে কাজ করতে হবে, তাই তিনি তিরপুর থেকে শার্ট রফতানি করে কর্ণাটকে বিক্রি শুরু করেন এবং মাসে ৫,০০০ টাকা আয় করেন। এরপর তাকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। নানান উত্থান-পতন শেষে ১৯৯৯ সালে তিনি একটি ছোট লজিস্টিক ব্যবসা শুরু করেন এবং সফলতার সাথে আজ অবধি চালিয়ে যাচ্ছেন।
বর্তমানে তার এই এমসিএস লজিস্টিকস ব্যবসাটি ভারতের শীর্ষস্থানীয় সংস্থা যা আন্তর্জাতিক শিপিংয়ের ক্ষেত্রেও কাজ করে। তিনি শুধুমাত্র একটি ব্যবসা নিয়ে থেমে নেই পাশাপাশি প্যাকেটজাত পানীয় ও পার্পল হ্যাজের নামে একটি বিউটি সেলুনস প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজ তার ব্যবসার বার্ষিক টার্নওভার প্রায় ৬০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে।
এগুলো ছাড়াও তিনি একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করেছেন যা সুবিধাবঞ্চিত বাচ্চাদের শিক্ষার জন্য কাজ করে। তার এই সামাজিক দায়বদ্ধতায় তাকে ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিআইসিসিআই) সভাপতি করে তুলেছে এবং তিনি হয়েছেন প্রশংসিত।
মোঃহৃদয় সম্রাট