দীর্ঘ ১০ বছর অনলাইনে উদ্যোগ পরিচালনা করেন উদ্যোক্তা ফারহানা ইয়াসমিন, তার উদ্যোগ সাত রঙ অর্জন করলো উদ্যোক্তা সম্মাননা ২০২২।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকার ড্যাফোডিল প্লাজায় বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)-এর উদ্যোক্তা বিষয়ক কার্যক্রম চাকরি খুঁজব না, চাকরি দেব এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনোভেশন অ্যান্ড এন্টারপ্রিনিউরশিপ ডিপার্টমেন্টের যৌথ উদ্যোগে দশমবারের মতো তরুণ উদ্যোক্তাদের সম্মানিত করা হয়।
২৫০ এর অধিক মনোনয়ন থেকে দেশসেরা ১৯ উদ্যোক্তাকে এই সম্মাননা দেয়া হয়, যার একজন উদ্যোক্তা ফারহানা ইয়াসমিন।
২০০৭ সাল নিজ বাসা থেকে হাঁটি হাঁটি পা পা করে কাজ শুরু করেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি আড়াইহাজার থানার পাঁচরুখি গ্রামে, যা বাটিক শিল্পের জন্য সমৃদ্ধ। এলাকা যেহেতু এ কাজের জন্য প্রসিদ্ধ। ব্যবসার প্রথম মূলধন ছিল ৫০০০ টাকা। নারায়ণগঞ্জ গ্রামের বাজার থেকে ১৭ টা থ্রি পিস কিনে আনেন। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তার আশে পাশের ফ্ল্যাটের প্রতিবেশীদের সাথে বেশ সখ্যতা ছিল ফারহানার। তার আনা ড্রেসগুলো দেখে সবাই খুব পছন্দ করল। ১৭ টা ড্রেসের ১০ টাই একবারে বিক্রি হয়ে গেল। এভাবেই শুরু হয় ফারহানার উদ্যোক্তার পথচলা।
২০২৩ সালের শেষ প্রান্তে এসে, অনলাইনের পাশাপাশি এক বছরে চারটি আউটলেটের মাধ্যমে চলছে সাত রঙের দেশীয় পণ্যের যাত্রা। এখনো পর্যন্ত সাত রঙের মাধ্যমে ৫০ জন নারী পুরুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। টাইডাই ব্লক বাটিক নিয়ে কাজ শুরু প্রথম থেকেই ছোট বড় সকল ধরণের পোশাক তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি।
উদ্যোক্তা ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, চাকুরী খুঁজব না, চাকরি দেবো গ্রুপে যুক্ত হয়েছি ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ। অনেক গ্রুপের সাথে যুক্ত ছিলাম তারপর হঠাৎ এই গ্রুপের সাথে যুক্ত হই৷ নানা রকম উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ক কাজ গুলো দেখছিলাম তাদের। এ বছর উদ্যোক্তা সম্মাননা রেজস্ট্রেশন ছাড়েন অনলাইনে,আমি ও সেখানে অংশগ্রহণ করি, ২৫০ জন থেকে একজন হতে পেরে নিজের কাজের প্রতি ডেডিকেশন আরও বেড়ে গেলো।’
সুতার বুনন থেকে শুরু করে রঙের খেলা তারপর পোশাক ডিজাইন সকল কিছু নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে হবার দরুন এখানে দেশীয় পণ্যের সৃজনশীলতার গাঁথুনি ও গল্পের রচনা হয়। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বাণিজ্যিকভাবে সাত রঙের পোশাকগুলো এখন নিয়মিত বিদেশে যাচ্ছে।
সেতু ইসরাত,
উদ্যোক্তা বার্তা