কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলোর খাতভিত্তিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ও তার বিভাজন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর তাতে সিএমএসএমই খাতে ঋণ ও অগ্রিম স্থিতির পরিমাণ বছরে এক শতাংশ করে বাড়াতে হবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর নিকট পাঠিয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রস্তুত করা বিভিন্ন আর্থিক বিবরণী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে দাখিল করা তাদের বিভিন্ন প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে সামঞ্জস্যতা বিধানের লক্ষে ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বরে জারি করা সার্কুলারের কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রতি বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের পূর্ববর্তী বছরের ঋণ ও অগ্রিম স্থিতির ভিত্তিতে সিএমএসএমই ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টকে অবহিত করবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ ও অগ্রিম স্থিতির মধ্যে সিএমএসএমই ঋণ এবং অগ্রিম স্থিতির পরিমাণ প্রতিবছর কমপক্ষে এক শতাংশ বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে ঋণ ও অগ্রিম স্থিতির পরিমাণ ২৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ২০২৪ সাল অন্তে অর্জিত লক্ষ্যমাত্রার নির্ধারিত হার সিএমএসএমই ঋণ ও অগ্রিম স্থিতি হবে মোট ঋণ ও অগ্রিম স্থিতির ২৫ শতাংশ। কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র উদ্যোগে ঋণ ও অগ্রিম স্থিতির পরিমাণ সিএমএসএমই ঋণ ও অগ্রিম স্থিতির ৫০ শতাংশ, নারী উদ্যোগে ঋণ ও অগ্রিম স্থিতির পরিমাণ সিএমএসএমই ঋণ ও অগ্রিম স্থিতির ১৫ শতাংশ, সিএমএসএমই ঋণ ও অগ্রিম স্থিতির খাতভিত্তিক বিভাজন উৎপাদনশীল শিল্পে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ, সেবা শিল্পে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ এবং ব্যবসা খাতের সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ। এছাড়া আগে জারি করা সার্কুলারের অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে।
১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইন এর ৪৫ ধারা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর ১৮ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা