রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘মিতার গল্প’ শিরোনামে দিনব্যাপী তৈরি পোশাক প্রদর্শনী। প্রদর্শনীতে নারীর স্বাস্থ্য, ক্যান্সারের মতো স্পর্শকাতর ও সমসাময়িক নারী বাস্তবতার বিষয়গুলো মূল উপজীব্য হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট-এর বিচারপতি নাইমা হায়দার। আগতদের উদ্দেশে তিনি অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
প্রদর্শনীটি আয়োজন করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এবং ঐক্য ফাউন্ডেশনের হেড অফ লিগ্যাল মাসুমা আক্তার মিথিলা।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন ফকির এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি এমডি আব্দুন নূর দুলাল।
বিচারপতি নাইমা হায়দার বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, মিথিলা একজন আইনজীবী। তার পাশাপাশি একজন অনেক ভালো গৃহিণী, একজন সেরা মিতার গল্পের কর্ণধার। আরো অনেক ধরনের রূপ রয়েছে তার। এছাড়াও তিনি একজন ক্যান্সার যোদ্ধা হিসেবে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন। তিনি এই পর্যন্ত এসেছেন নিজস্ব প্রচেষ্টায়। একজন নারীর জন্য এটা বিরাট বড় ব্যাপার। তার থেকে আমরা অনেক নারী অনুপ্রেরণা পাই। আমি আশা করি মিথিলা এভাবেই এগিয়ে যাবেন।’
মাসুমা আক্তার মিথিলা বলেন: আমি হাইকোর্টে নিয়মিত প্র্যাকটিস করি। বিশেষ করে কোম্পানি আইনগুলো প্র্যাকটিস করি। বাংলাদেশের উদ্যোগের সাথে যে প্র্যাকটিসটা রয়েছে, সে উদ্যোক্তা অধিকার আইন ও লিটিগেশন এবং ডকুমেন্টেশন নিয়ে কাজ করি। এছাড়াও আমি ঐক্য ফাউন্ডেশনের হেড অফ লিগ্যাল হিসেবে কাজ করি।ঐক্য ফাউন্ডেশনের মূল কাজই হচ্ছে উদ্যোক্তাদের নিয়ে, নিজেদের সহযোদ্ধা মনে করে। তাই তাদের পুরো টিমের সাথে আমি যুক্ত রয়েছি। পাশাপাশি আজকে যে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছি, এর কারণ ফ্যাশনের প্রতি একটি প্যাশন রয়েছে বরাবরই। আমি মিতার গল্পের কর্ণধার হিসেবে, একজন ক্যান্সার যোদ্ধা হিসেবে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে চেষ্টা করছি ক্যান্সার জয়ী নারীদের অদম্য সাহসিকতার, ধৈর্য্য, সহিষ্ণুতার গল্পগুলোকে সুঁই-এর ফোড়নের, অলংকরণে সবার মাঝে তুলে ধরতে।
সহকর্মী অ্যাডভোকেট সাগরিকা ইসলাম বলেন, ‘মাসুমা আক্তার মিথিলাকে সব ধরনের মানসিকভাবে সাপোর্ট দিয়ে থাকি। একজন ক্যান্সার যোদ্ধা হিসেবে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে যে উদ্যোগটি নিয়েছেন তার জন্য সাফল্য ও শুভকামনা জানাই। ‘
বিগত ১৭ বছর ধরে আইন পেশায় ও সুপ্রিম কোর্টে নিয়মিত কোম্পানি আইন প্র্যাকটিশনার হিসেবে কর্মরত একজন নারী সমান্তরাল গতিতে ৬ বছর ধরে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন। এল. এল বি ও এল.এল এম এর পাশাপাশি ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করে দেশের প্রথম সারির বেশ কিছু ফ্যাশন হাউসের জন্য শাড়ি, ব্লাউজ ও জুয়েলারি আইটেম তৈরি করছেন। তিনিই একজন মিথিলা, একজন নারী উদ্যোক্তা এবং মিতার গল্পের প্রতিষ্ঠাতা।
মেহনাজ খান,
উদ্যোক্তা বার্তা