বিইউবিটি থেকে সদ্য বিবিএ সম্পন্ন করা এক তরুণ সাকিব মুন্না। সফটওয়্যার ফার্মে কিছুদিন চাকরি করলেন কিন্তু নিজে কিছু করবার ইচ্ছা তাড়া করে ফেরে তাকে সবসময়।
২০১৭ সালের শেষের দিকে ফেসবুকে কিছু গ্রুপে নিজের ইচ্ছার কথা পোষণ করেন মুন্না। সাড়া মিললো প্রায় ২০ জনের কাছ থেকে। মূলধন যা যোগাড় হলো তা যথেষ্ট নয় বলে তারা একত্রে আরও শেয়ারহোল্ডার খুঁজতে থাকলেন।
২০১৮ সালে মুন্নার শেয়ারহোল্ডার হলো ১৫০ জন। তাদের সকলকে নিয়ে মুন্না শুরু করলেন “হিডেন শেফ” রেস্টুরেন্ট এন্ড ক্যাফে।
দারুন সাড়া মিললো। যাত্রার মাত্র ৬ মাসের মাথায় কালশী তে আরো দুটি রেস্টুরেন্ট ওপেন করলো হিডেন শেফ। এর মধ্যে একটি হল চাপ এক্সপ্রেস। আজ ঢাকা কমার্স কলেজ এর বিপরীত পার্শ্বে হিডেন শেফ তার সবচেয়ে বড় শাখা উদ্বোধনের অপেক্ষায়। ৫০ জনের মত কর্মসংস্থান। হিডেন শেফের মুন্না বলেন “এই সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যাবার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।” বর্তমানে হিডেন শেফে বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বেড়ে ৫০০ ছাড়িয়েছে যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
হিডেন শেফ ফুড সার্ভিসে সেবা দিচ্ছে এখন মিরপুর অঞ্চলে যার মাঝে রয়েছে জন্মদিন, এনিভারসারি, কর্পোরেট পার্টি ব্যবস্থাপনা, ফ্রি হোম ডেলিভারি।
স্বীয় ব্যবসার পাশাপাশি জনসেবামূলক কাজের সাথে জড়িত হয়েছে হিডেন শেফ। আর্থিক সহায়তা প্রদান, বস্ত্র দান কর্মসূচি,আজীবন ভাতা প্রদান এবং রক্তদান কর্মসূচি।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি? জানতে চাইলে উদ্যোক্তা সাকিব মুন্না ইউবি প্রেসকে বলেন, “২০১৯ এর শুরুতে এগ্রো প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। একই সাথে ‘নিজ হাতে নিজের বাড়ি’ প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এবং এ বছরেই শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য এন্ট্রি এ্যাক্সেস উন্মুক্ত করছি আমরা আমাদের নতুন উদ্যোগ ‘উইমেন্স টেইলার্স’ এ। এছাড়াও কর্পোরেট ক্লায়েন্টদের কাছে আমরা উপস্থিত হব আমাদের স্পেশাল লাঞ্চ বক্স অফার নিয়ে”।
“হিডেন শেফ” বেকার তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবার জন্য একটি কর্মশালা করবে সামনে। এছাড়াও যেসকল তরুণদের রন্ধন নিয়ে রয়েছে বিশেষ আগ্রহ, তাদের আমরা বিনা খরচে ট্রেনিং দেব”।
মানুষ যেন কাঁচা বাজার ঘরে বসেই সেরে ফেলতে পারে এবং হাতে পেয়ে যেতে পারে সেজন্য হিডেন শেফ বিশেষ টিম গঠন করবে।
সমাজের পিছিয়ে পড়া মেয়েদের নিজ পায়ে দাঁড় করানোর জন্য, তাদের কোন ইনোভেটিভ আইডিয়া থাকলে তা মূল্যায়ন করে আর্থিকভাবে সহায়তা করা।
সাকিব আরও জানান, “বিশ্বের প্রায় ২২টি দেশ থেকে প্রবাসী বাঙ্গালি ৭০ জনেরও বেশি বিনিয়োগকারী আছেন আমাদের সাথে যাদের সহযোগিতা না পেলে হিডেন শেফের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ত। সেই সকল পার্টনারদের জীবনে যাতে কোন দুঃখ-কষ্ট না থাকে তার জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করতে চায় হিডেন শেফ। হিডেন শেফ নির্মাণ করছে প্রবাসী কল্যাণ ফান্ড যেখানে হিডেন শেফে বিনিয়োগকারী সকল প্রবাসীদের জন্য দেশে ফিরে যেকোন ব্যবসা বা কাজের মাধ্যমে দেশে নিজের আয়কে সমৃদ্ধশালী করতে পারা। সময়ের সাথে সাথে হিডেন শেফ তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে এগিয়ে যেতে চায়। সকলের সহযোগিতা এবং হিডেন শেফের ঐকান্তিক কর্মপ্রচেষ্টায় এগিয়ে যাব সকলের ভালোবাসার হিডেন শেফকে নিয়ে”।
বিপ্লব আহসান