ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রতিবারের মতো এবারও পসরা সাজিয়েছে কাশ্মীরি আচারের স্টল। আচারপ্রেমী দর্শনার্থী ক্রেতাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে “কাশ্মীরি আচার”।
বরই, তেঁতুল, রসুন, আম,আপেল থেকে শুরু করে খেজুর, কাঁচামরিচ, আলুবোখারা, মাশরুমের আচারসহ ২৪ পদের আচার রয়েছে এই স্টলে।
মেলা ঘুরে দেখা যায় কাশ্মীরি আচারের দোকানটিতে ক্রমাগতভাবে ক্রেতারা আসছেন এবং তাদের পছন্দের আচারের স্বাদ নিচ্ছেন। স্টলগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের আচার কিনতে সব বয়সী ক্রেতারা ভিড় করছেন দলে দলে। ক্রেতা-দর্শনার্থীর সাড়া পেয়ে খুশি স্টল কর্তৃপক্ষ।
বাণিজ্য মেলায় কাশ্মীরি আচারের স্টলে প্রতি কেজি আচার বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকায়। এছাড়া ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী অল্প পরিমাণেও বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন রকম আচার।
কাশ্মীরি স্টলে আচারভেদে প্রতি ১০০ গ্রাম আচার কিনতে ক্রেতার খরচ হবে ৪০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। ক্রেতারা দেখে বাছাই করে সংগ্রহ করতে পারবেন বিভিন্ন রকমের আচার। স্টলে বসে খাওয়ার পাশাপাশি নিতে পারবেন পার্সেলও। এছাড়া অনলাইনেও করা যাবে অর্ডার।
কাশ্মীরি আচার অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টসের উদ্যোক্তা রোজিনা আক্তারের স্বামী সফিকুল ইসলাম উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, ‘প্রতিবছরই আমরা বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ করে থাকি। প্রতিবারের মতো এবারও ভালো সাড়া পাচ্ছি। আমরা সাধারণত সব সময় যে দামে আচার বিক্রি করি, মেলায় সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে। বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে আমরা দাম বাড়াইনি। ঢাকাতে আমাদের তিনটি আচারের শো রুম রয়েছে।
সফিকুল ইসলাম আরো বলেন, ‘আচারের উদ্যোক্তা প্রধানত আমার স্ত্রী। তিনিই নিজ হাতে এই আচার তৈরি করে থাকেন। আমাদের আচার গুণে মানে উন্নত ও স্বাস্থ্যসম্মত। আমরা বিভিন্ন জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি এই আচারের জন্যে।’
কাশ্মীরি আচারের বিক্রয় প্রতিনিধি পাইলট শাহ বলেন, এবারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় সর্বমোট আমরা ২৪ পদের আচার নিয়ে এসেছি। আমরাই একমাত্র আচার কোম্পানি যারা বাংলাদেশের পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল বিভিন্ন ফেয়ারে অংশগ্রহণ করি। আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই, হংকং, জার্মানি, ফ্রান্স, রাশিয়াসহ নানা দেশের মেলাতে আমরা অংশগ্রহণ করেছি। এবারের বাণিজ্য মেলায় আমরা দুটি স্টল নিয়েছি।
তিনি বলেন, আমের কাশ্মীরি, খেজুর-তেঁতুল মিক্সড ও আলু বোখারাসহ পাঁচ পদের আচারের চাহিদা বেশি। আমের কাশ্মীরি ও আলু বোখারার আচার ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। জলপাই টক আচার, মিক্সড আচার, আমড়া মোরব্বা, চালতা মোরব্বা ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, প্রথম দিন থেকেই ক্রেতারা আসছেন, বিক্রিও বেশ ভালো। সব পদের আচার ধুলোবালি থেকে নিরাপদে রাখতে কাচের র্যাকে ঢেকে রাখা হয়েছে। টানিয়ে দেওয়া হয়েছে মূল্য তালিকাও। ক্রেতারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী আচার কিনছেন। আমরা প্রতিদিন খুচরা বিক্রিই করছি এক লাখ টাকার উপরে। শুক্রবার ও শনিবার বিক্রির পরিমাণ বেশি।
মেলায় ঘুরতে আসা ইব্রাহিম হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে মেলায় ঘুরতে এসেছি। কাশ্মীরি আচারের স্টলে এসে অনেক পদের আচার খেলাম। অনেক ভালো লাগলো। আচারগুলো পরিচ্ছন্ন ও সুস্বাদু।
নিঝুম নামের আর একজন ক্রেতা বলেন, মেলায় এসে খুব ভালো লেগেছে। ঘুরতে ঘুরতে এই আচারের স্টলে এসে বিভিন্ন রকম আচার খেয়েছি, বাড়ির জন্যে আমের ও রসুনের আচার নিয়ে যাচ্ছি।
আফসানা অভি
উদ্যোক্তা বার্তা