দীর্ঘ আকাঙ্ক্ষিত ও স্বপ্নের মেট্রোরেল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে নগর যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিক যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনী ফলকের প্রতিরূপ (রেপ্লিকা) জনসম্মুখে উন্মোচন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। প্রতিরূপ উন্মোচনের পর মোনাজাত করা হয়
সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুধী সমাবেশের মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।
সুধী সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ডিএমটিসিএলর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তমোহিদে, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি প্রমুখ।
উদ্বোধন উপলক্ষ্যে উত্তরায় সকাল থেকে স্লোগান-মিছিলে মুখর হয়ে উঠে মেট্রোরেল উদ্বোধনের সুধী সমাবেশস্থল ও আশপাশের সড়ক এবং স্টেশনের আশপাশের এলাকা।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুধী সমাবেশে ভাষণ দেন।
সমাবেশ শেষে দিয়াবাড়ি স্টেশন থেকে টিকিট কেটে মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রীও হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সঙ্গে শেখ রেহানা ছাড়াও মন্ত্রিসভার সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিরা ছিলেন।
সাধারণ যাত্রীরা আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে মেট্রোরেলে চড়তে পারবেন।
ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ উদ্বোধনের পর মেট্রোরেল চলাচল করবে সীমিতভাবে। আগামী ২৬ মার্চ থেকে উত্তরা-আগারগাঁও পথে পুরোদমে যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে মেট্রোরেল। উত্তরা আগারগাঁও পথের জন্য ৬ কোচবিশিষ্ট ১০টি ট্রেন প্রস্তুত করা হয়েছে।
জানা গেছে, আপাতত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা চলবে মেট্রোরেল। ১০ মিনিট অন্তর প্রতি যাত্রায় ২০০ জন করে যাত্রী বহন করবে একেকটি ট্রেন। বন্ধ থাকবে প্রতি মঙ্গলবার। যাত্রীদের দুই প্রান্তের দুই রেল স্টেশনে নিয়ে আসবে বিআরটিসির ৩০টি দ্বিতল বাস। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল ২০টি এবং উত্তরা হাউজ বিল্ডিং থেকে দিয়াবাড়ি স্টেশন পর্যন্ত ১০টি বাস চলবে। বিআরটিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নগর পরিবহনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) যে ভাড়ার হার নির্ধারণ করে দিয়েছে, বিআরটিসির বাসে সেই ভাড়াই নেওয়া হবে।
সেতু ইসরাত,
উদ্যোক্তা বার্তা