কুষ্টিয়ার ছেলে মোঃ মোখলেছুর রহমান, পড়াশোনা করেছেন ঢাকা কলেজে। ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল গ্রামের নারীদের জন্য কিছু করবেন, তাদের পাশে দাঁড়াবেন। গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের জন্য কিছু করার জন্যই তার উদ্যোক্তা হয়ে উঠা বলে জানালেন তিনি।
অন্য সবার থেকে তার চাওয়াটা সবসময়ই ভিন্ন ছিল। “চাকরি প্রত্যাশী নয় বরং চাকরি দেবো”– এ মনোভাবই সব সময় মোখলেছুর রহমানের মধ্যে কাজ করতো।
সেই লক্ষ্যে তিনি অনেকটাই সফল। অনলাইন ও অফলাইনভিক্তিক তার উদ্যোগে বতর্মানে বেতনভুক্ত কর্মী ১১ জন, আর মজুরিভিত্তিক ৩৫ জন কর্মী রয়েছেন। মাসে তার আনুমানিক ১ লক্ষ টাকার মতো পণ্য বিক্রি হয়।
উদ্যোক্তা হওয়ার আগে মোখলেছুর রহমান এক বছর বিভিন্ন জায়গায় ট্রেনিং নিয়ে নিজেকে তৈরি করেছেন। “একজন কর্মী নিয়ে আমি কাজ শুরু করেছিলাম। মূলধন বলতে আমি তখন টিউশনি করতাম এবং ফাঁকে ফাঁকে ট্রেনিং করতাম। টিউশনের টাকা দিয়ে একটা মেশিন কিনে আমি আমার উদ্যোগ শুরু করেছিলাম। এখন বেকার যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য নিজেও বিভিন্ন ট্রেনিং করিয়ে থাকি,” বলে জানান উদ্যোক্তা মোখলেছুর রহমান।
তার প্রতিষ্ঠানের নাম “হেরিটেজ ইকো প্রোডাক্টস”। তিনি জানান: আমরা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রোগ্রামের ব্যাগ, ফাইল, টিস্যু বক্স ইত্যাদির কাজ করে থাকি। বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতেই আমাদের পণ্য যায়। বতর্মানে বাংলাদেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে দেশের বাইরেও আমাদের পণ্য যাচ্ছে যেমন- চায়না, কানাডা ও ফ্রান্সে।
মোখলেছুর রহমান বলেন, “আমাদের দেশে উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন রকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। তারপরও থেমে থাকলে চলবে না। এগুলো মোকাবেলা করেই আমাদের চলতে হবে।”
তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য এই উদ্যোক্তা বলেন: সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে, সময়ের মূল্য দিতে হবে এবং কাজকে ছোট করে না দেখে নিজের কাজকে নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসতে হবে।
ভবিষ্যতে শুধু বাংলাদেশে নয় সারাবিশ্বে তিনি তার উদ্যোগকে ছড়িয়ে দিতে চান। এই লক্ষ্যকে সামনে নিয়েই এগিয়ে যেতে চান মোখলেছুর রহমান।
আফসানা অভি,
উদোক্তা বার্তা