দুর্গাপুরে লাউমাচায় করলা চাষে কম খরচে ভালো দাম

0

বর্ষায় লাউয়ের মাচায় করলার চাষ করেছিলেন রাজশাহীর দুর্গাপুরের কৃষকেরা। ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় অন্যান্য সবজি চাষের পাশাপাশি করলা চাষ করে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। সঠিক পরিচর্যায় করলার ফলনও হয়েছে ভালো। খেতের আইলেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে কৃষকের উৎপাদিত করলা।

দুর্গাপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বর্ষায় এই উপজেলায় অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ১২০ হেক্টর জমিতে করলা চাষ হয়েছে। এ সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় সবজি উৎপাদন কম হয়। ফলে এই অঞ্চলের করলার ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয় সারাদেশে। একই সঙ্গে চাহিদা ও দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকেরা। উপজেলায় গতবারের চেয়ে এবার ২০ হেক্টর জমিতে করলা চাষ বেশি হয়েছে।

উপজেলার উজানখলসী গ্রামের আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় ৩০ শতাংশ জায়গায় চৈত্র মাসে লাউ চাষ করি। সেখানে বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করে নাইলন সুতা ও জিআই তার এবং বাঁশের খুঁটির ওপর চাষ করতাম। লাউ চাষ শেষ হলে সেই মরা গাছের মাঝে মাঝে করলা গাছের বীজ বপন করেছিলাম। সেখান থেকে এখন করলা বিক্রি করছি। বর্ষা মৌসুমে করলার দাম ভালো হয়। প্রতিমণ করলা খেতের আইল থেকে বিক্রি হচ্ছে ১৭শ থেকে ১৭শ ৫০ টাকা দরে।’

হাটকানপাড়া এলাকার মহির উদ্দিন বলেন, ‘করলা নিয়ে বাজারে যেতে হয় না। চড়া দামে খেতের আইলেই বিক্রি হয়ে যায়। অন্যান্য সবজির তুলনায় করলা চাষে খরচ কম।’

পাইকারি ব্যবসায়ী দুলাল সরকার বলেন, ‘বর্ষাকালে সারা দেশে সবজির সংকট হয়। এ সময় রাজশাহী অঞ্চলে জমি উঁচু হওয়ায় করলা চাষ হয়। এসব করলা তিনি ঢাকা ও সিলেটে সরবরাহ করেন। পাইকাররা খেতের আইল থেকেই করলা কিনে নিচ্ছেন। চাহিদা থাকায় দামও ভালো পাচ্ছেন।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘করলা প্রায় সারাবছরই আবাদ করা যায়। বর্ষা মৌসুমে অনেকেই এখন বিভিন্ন জাতের করলা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এ বছর দাম ভালো পাওয়ায় ভবিষ্যতে আরও বেশি জমিতে করলার চাষ হবে।’

ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here