বাংলাদেশের প্রথম ও অন্যতম জি.আই পণ্য জামদানি। ঢাকাকেই আদি জন্মস্থান বলে গণ্য করা হয়। যদিও বর্তমানে বাংলাদেশর বিভিন্ন অঞ্চলে তৈরি হচ্ছে জামদানি শাড়ি।
একজন জামদানি উদ্যোক্তা সুমি বিশ্বাস। তিনি জন্মসূত্রে যশোরের হলেও বাবা মায়ের চাকরির সুবাদে পড়াশোনা ও বড় হয়ে উঠেছেন ঢাকাতে। অর্থনীতিতে পড়াশোনা শেষ করে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে যোগ দেন। কিন্তু দুই সন্তানের জননীর জন্য চাকরি চালিয়ে যাওয়া কষ্টসাধ্য ছিল। তাই সেই অধ্যায়ের সমাপ্তি টেনে নামমাত্র পুঁজি নিয়ে অনলাইনে শুরু করেন ‘পাঞ্চালীর’ পথ চলা।
শুরুটা মসৃণ হলেও এগিয়ে যাওয়াটা একটু কষ্টসাধ্যই ছিল। একটা ভালো চাকরি ছেড়ে উদ্যোগ শুরু করার জন্য আশেপাশের মানুষের সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে।
সুমি বিশ্বাস উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন: ‘পাঞ্চালীর শুরুটা অনলাইনে হলেও আমরা ক্রেতাদের আরও কাছে পৌঁছে যাওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করি। ক্রেতাদের পণ্যের শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে কখনও কোয়ালিটির সাথে আপোষ করি না। ঢাকার নিউমার্কেট ও টাংগাইলের তাঁতীদের দিয়ে পণ্য তৈরি করে থাকি। যশোরে সিল্কের ও মাগুরার মহিলাদের দিয়ে হাতের কাজও করিয়ে থাকি
‘পাঞ্চালী’ সিগনেচার পণ্য জামদানি শাড়ি, জামদানি কুর্তি, ব্লক প্রিন্ট, এম্ব্রয়ডারি ইত্যাদি। জামদানি শাড়ি ও কুর্তির পাশাপাশি বিভিন্ন উৎসবে কাপল সেটগুলো সবচেয়ে বেশি পছন্দ ক্রেতাদের। বাংলাদেশের প্রায় সকল জেলা-উপজেলায় পণ্য যায়। পাশাপাশি ভারত, আমেরিকা, কানাডার মতো দেশে পণ্য গেছে একাধিকবার। শুরুতে অল্প ক্রেতা থাকলেও এ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজারের বেশি পণ্য সেল হয়েছে।
“আমাদের দেশে উদ্যোক্তা হতে হলে প্রথমেই সমালোচনা সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে। থাকতে হবে সততা ও বুদ্ধি এবং করতে হবে কঠোর পরিশ্রম। পারবো না কথাটি বলা যাবে না,“ এভাবেই নিজের উদ্যোক্তা জীবনের দর্শন তুলে ধরলেন সুমি বিশ্বাস।
ভবিষ্যতে ‘পাঞ্চালী’কে অনলাইন থেকে অফলাইনেও নিয়ে যেতে চান তিনি। নিজের উদ্যোগকে দেখতে চান একটি বড় জায়গায়। গ্রামের মহিলাদের সাথে নিয়ে এগিয়ে যেতে চান বহুদূর।
হাবিবুর রহমান,
উদ্যোক্তা বার্তা