আইনের ছাত্রী শর্মী, কালিনারী তুখড় উদ্যোক্তা

0

বিফ পকোড়া, বিফ কাবাব, চিকেন মুঠি কাবাব, জর্দা পোলাও, বিরিয়ানি, বুটের সন্দেশ, কেক ব্রাউনি সহ সুস্বাদু খাবারে ভরপুর উদ্যোক্তা শাহরিনা ইয়াসমিন শর্মীর থ্রিআর’স ফুড বাস্কেট। রাজশাহী নগরীর পাশাপাশি নওগাঁ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সহ দেশের অনেক স্থানেই থ্রিআর’স ফুড বাস্কেট-এর খাবারগুলোর চাহিদা লক্ষণীয়। ইতোমধ্যে শর্মীর এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন তার দুই সহযোদ্ধা।

গতবছর সেরা রাঁধুনী ১৪২৭-এ রাজশাহী থেকে উত্তির্ণ হয়ে পঞ্চম স্থান অধিকার করেন এই রন্ধনশিল্পী। মূলত এরপর থেকেই এইশিল্পের প্রতি ঝোঁক বেড়ে যায় তার। এছাড়াও ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ড ডেইরির ডিপ্লোমা মিষ্টির লড়াই-এ সপ্তম হয়েছিলেন তিনি। অনেক আগে থেকেই টুকটাক রান্না করলেও সেরা রাঁধুনী হতে অর্জিত পঁচিশ হাজার টাকা নিয়ে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করেন শর্মী।

রন্ধনশিল্পী শর্মী উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই রান্না ভিষণ ভালোবাসতাম । আর বাবা খুব খাওয়াতে ভালোবাসতেন। বাসায় অতিথি এলে মা যেসকল নাস্তা তৈরি করতেন সেগুলো সপ্তম-অষ্টম শ্রেণীতে থাকাকালীন আয়ত্ব করেছিলাম মায়ের দেখে। এরপর থেকেই বাসায় সবধরনের নাস্তা তৈরীর দায়িত্ব ছিলো আমার কাঁধেই। এবং বিয়ের পর রাজশাহীর জনপ্রিয় রন্ধনশিল্প আমার চাচি শাশুড়ি মোশারফ জাহান রুমি আমাকে হাতে ধরে দেশি বিদেশি অনেক রান্না শিখিয়েছেন। এছাড়াও চারমাস পূর্বে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রাজধানীর গ্রীন রোডের ‘বাংলাদেশ হোটেল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম ইনস্টিটিউট’ থেকে কুকিং এবং বেকিং-এ ১ এবং ২ লেভেল সম্পূর্ণ করেছি আমি’।

বাবার স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে স্নাতক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতকোত্তর শেষ করেন শর্মী। আইন থেকে পড়াশোনা শেষ করে হোমমেইড ফুড নিয়ে কাজ করবেন এমন সিদ্ধাতে পরিবার কী বললেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘পরিবার আমায় প্রথম থেকেই ভিষণ সাপোর্ট করেছে। আমার মা আমার বাচ্চাদের সামলাতেন আমার হাজবেন্ড ও ভীষণ সাপোর্টিভ ছিলেন। পচিঁশ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করলেও প্রথম মাসেই আমি ৭০ হাজার টাকার খাবার বিক্রয় করেছিলাম তা দেখে আমাদের আত্মবিশ্বাস আরো বেড়ে গিয়েছিলো।”

আইনের শিক্ষার্থী হয়েও রন্ধনশিল্পই যেন তাকে বেশি আকৃষ্ট করেছেন। পরবর্তী লেভেলগুলো সম্পূর্ণ করে আরো বৃহৎ পরিসরে থ্রিআর’স ফুড বাস্কেটের পরিধি ছড়িয়ে দিতে চান এই উদ্যোক্তা।

তামান্না ইমাম
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here