আম মূলত গ্রীষ্মকালীন ফল হিসেবে বেশ পরিচিত। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে শীতকালেও দেখা মিলে টসটসে পাকা আম।
উদ্যোক্তা সেরাজুল ইসলাম প্রথমে পরীক্ষামূলক বারোমাসি আম চাষ করেন। এরপর সফলতা পেয়েছেন দেখে এখন তিনি সেখানে বেশ ঘটা করেই বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করেন। ১২ বিঘা জমি লিজ নিয়ে তার এই বাগান করেছেন সেরাজুল । বর্তমানে পাকা আমসহ আমের চারা বিক্রি করছেন। তিনি প্রতি কেজি আম ৩৫০-৪৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন তিনি।
এ বিষয়ে সেরাজুল ইসলাম জানান, “সারা বছর আমের চাহিদা থাকলেও মৌসুম ছাড়া আম পাওয়া যায় না।এ চিন্তা থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে নানা জাতের চারা সংগ্রহ করতে থাকি,কিন্তু সে জাতগুলো ভালো ছিল না।পরে ঢাকা থেকে চারা সংগ্রহ করি।তারপর বাগান করে সফল হই।সে সময় এক বিঘা জমি থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকার আম বিক্রি করা হয়েছিলো।এখন ১২ বিঘা জমি লিজ নিয়ে আমবাগান করেছি।”
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সীমা কর্মকার বলেন,”কয়েক মাস আগে সেরাজুল ইসলামের বাগান পরিদর্শন যাই।তাকে বাগান পরিচর্যার বিষয়ে অনেক রকম পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।অধিদপ্তর থেকে তাকে প্রয়োজনীয় যতটুকু সাহায্য-সহযোগিতা সম্ভব তা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং আশা করি তার দেখাদেখি আরও অনেক চাষী বারমাসি বাগানে উদ্বুদ্ধ হবে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আমের ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
উদ্যোক্তা সেরাজুল সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা এবং সহায়তা কামনা করেন যাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আম আরও ব্যাপকভাবে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
সাকিব মাহমুদ,
উদ্যোক্তা বার্তা