ড্রিমার্স গার্ডেনকে ঘিরে কৃষি পর্যটন

0
উদ্যোক্তা হাসান আল সাদী

তেরো বিঘা জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির সাড়ে তিনশো আমগাছ। প্রতিটি গাছই পনের থেকে ষোলো বছর বয়সী। সাথে ছয় রঙের টিউলিপ, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, পিটুনিয়া সহ ষোলো প্রজাতির ফুল।

যা দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী ভিড় জমাচ্ছে। অবশ্য তার জন্য প্রতিটি দর্শনার্থীদের পঞ্চাশ টাকা মূল্যের টিকিট ক্রয় করতে হচ্ছে। বর্ণনাকৃত এই দৃশ্যটির দেখা মিলবে উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পলাশবাড়ী গ্রামে গড়ে উঠা উদ্যোক্তা হাসান আল সাদী পলাশের ড্রিমার্স গার্ডেনে।

উদ্যোক্তা বলেন,বিশাল এই আমবাগান টি আমের মুকুল ফোটা থেকে শুরু করে আম বাজারজাতকরণ পর্যন্ত তিন থেকে চার মাস কাজে লাগলেও বাকি আট-নয় মাস পড়েই থাকতো। এই বিশাল যায়গাটিকে ফেলে না রেখে যথাযথভাবে ব্যবহারের লক্ষ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রথমদিকে গাঁদা,গ্লাডিওলাস, পিটুনিয়া সহ আরো কিছু ফুলের চারা রোপণ করেছিলাম। পরবর্তীতে জানতে পারি নেদারল্যান্ডস বিখ্যাত টিউলিপ এখন বাংলাদেশের মাটিতেও সৌরভ ছড়াচ্ছে। তাই দেরী না করে এক হাজার টিউলিপ বাল্ব সংগ্রহ করে আঠারোই ডিসেম্বর ২০২১ সালে রোপন করি। ২০২২ সালের জানুয়ারী মাসের শেষ দিকেই দেখা মিলে শীতপ্রধান দেশের ফুল টিউলিপের। শীতকাল এখন শেষের পথে তাই মন জুড়ানো এই ফুলটিও ঝরে যেতে শুরু করেছে। তবে প্রথম বছরেই যেহেতু আমরা টিউলিপের দেখা পেয়েছি তাই আগামী বছরের এটি নিয়ে বৃহৎ পরিকল্পনা করছি।

আম-লিচুর মৌসুমে বাগান এসে পছন্দসই এই ফলগুলো খাওয়া এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যের জন্য ফরমালিন মুক্ত এসব ফল ক্রয় করে নিয়ে যাওয়ার ও সুযোগ থাকবে। ইতোমধ্যে দেশের নানা প্রান্ত থেকে স্বপরিবারে, স্ববান্ধবে ড্রিমার্স গার্ডেনে ভিড় জমাচ্ছে দর্শনার্থীরা। শিশুরা বাগানে খেলছে, দৌড়ে বেড়াচ্ছে। অন্যরা কিছুক্ষণের জন্য স্মার্টফোনের কথা ভুলে প্রকৃতি ও গাছগাছালির সান্নিধ্যে সময় কাটাচ্ছেন।

কিছুদিন আগেও যায়গাটি সবার কাছে পরিচিত ছিলো আফজাল গার্ডেন নামে। পরবর্তীতে সে নামের পাশেই ড্রিমার্স গার্ডেন এর সাইনবোর্ড লাগানো হয়। উদ্যোক্তা হাসান আল সাদী এবং তার খালাতো ভাই মিলে এ উদ্যোগটি পরিচালনা করছেন। ইতোমধ্যে ড্রিমার্স গার্ডেন কে ঘিরে ঐ এলাকার অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। সামনে আরো অনেকে ড্রিমার্স গার্ডেনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে পারবেন বলে জানান উদ্যোক্তা। এই উদ্যোক্তার জন্ম থেকে বেড়ে উঠা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পৌর সদরের পুরাতন বাজার এলাকায়। আমের রাজধানীতে জন্ম নেওয়া এই উদ্যোক্তা দীর্ঘদিন ধরেই আম চাষ এবং ব্যবসার সাথে যুক্ত রয়েছেন।

তামান্না ইমাম,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here