ফুলচাষে গপিনাথের ভাগ্যবদল

0
উদ্যোক্তা গপিনাথ রায়

এক সময় পরিবারে অভাব-অনটন ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। আর্থিক দৈন্যতা ঘোচাতে ২০০১ সালে বাড়ির আঙ্গিনায় শুরু করেন ফুল চাষ। শুরুতেই ফুল চাষ করে সুফল মেলে। পরে ৫ বিঘা জমিতে ৫০ প্রজাতির বাহারি রঙের ফুল বাগান করে আর্থিকভাবে লাভবান ও স্বাবলম্বী হন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচণ্ডী ইউনিয়নের বাফলা গ্রামে কৃষক গপিনাথ রায়।

বাড়ির আনাচে-কানাচে ও পার্শ্ববর্তী জমিতে লাগিয়েছেন রজনীগন্ধা, জারবেরা, গোলাপ, গ্লোরিয়া, ক্যানডুলার মতো দেশী-বিদেশী নানা প্রজাতির ফুল গাছ। বাড়িতে ক্ষুদ্র পরিসরে গড়ে তুলেছেন বিনোদন পার্ক। পার্কে সংযোজন করেছেন গাটু বাঁশ, ট্রেটাজ, মন্দিও ঝাউ, চাইনিজ পাম্প, ললনী পাম্প, ময়ূর পঙ্খিরাজ, কার্পেট ঘাসসহ নানা প্রজাতির ফুলগাছ।

কৃষক গপি নাথ জানান, ‘অন্য ফসলের তুলনায় ফুল চাষে উৎপাদন খরচ কম, লাভ বেশি। সব মিলে ৫ বিঘা জমিতে খরচ হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একটি ফুল ২০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। করোনাকালীন সময়ে আয় কমে গেলেও বিগত বছরগুলোতে ফুল বিক্রি করে আয় হতো দেড় লক্ষাধিক টাকার মতো।’

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‌‘কৃষক গপি নাথকে ফুল চাষে প্রশিক্ষণ ও সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ উপজেলায় তিনিই প্রথম ফুল চাষ শুরু করেন। ফুল চাষ করে এখন তিনি স্বাবলম্বী।’

প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত দর্শনার্থী ভিড় করছেন এখানে। দর্শনার্থীর নিকট থেকে প্রবেশ মূল্য হিসেবে প্রতি মাসে আয় করেন ১০ হাজার টাকা। বর্তমানে তার বাগানের ফুল স্থানীয় বাজারে বিক্রির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের চাহিদা পূরণ করে থাকে।

সেতু ইসরাত,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here