পর্ব-২
কাস্টমারের সাথে কথাবার্তা আদানপ্রদানের বিষয়টা করতাম আন্তরিকতার সাথে আর ওরাও ছিল বেশ আন্তরিক। যদিও অনেক সমস্যা হয়েছে আমাদের কথা ওদের বুঝাতে, ওদের কথা আমরা বুঝতে। চোখের ভাষায় ও হাতের ইশারায় চেষ্টা করতাম ওদের বুঝাতে। তখন মনে হয়েছিলো মেলা করতে যাওয়ার আগে ছোটখাট টুকটাক বিষয় আছে যেগুলো দেশ থেকে শিখে যেতে হয়। তখন আমার মনে হয়েছে দেশের বাইরে মেলা গুলোতে যাবার আগে ৩ দিনের একটা ট্রেনিং এমন যদি হতো যেটাতে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ট্রেইনার দিয়ে ছোটখাট সব বিষয়ে ট্রেনিং এবং কমন কিছু ভাষা শিখানো হলে আরো ভালো হতো।
চায়নাতে খাবারের একটা সমস্যা। যাই হোক আমরা এ নিয়ে বড় কোন ঝামেলায় পড়িনি। তবে একদিন সবাই ঠিক করেছি ওদের স্ট্রীড ফুড বারবিকিউ খাবো। কেউ একজন বললো ভালো একটা জায়গা সে চিনে, সবাই হাটা শুরু করালাম। আধা ঘণ্টা – এক ঘণ্টা হয়ে গেলো রাস্তা আর শেষ হয়না। কেউ কেউ ক্লান্ত হয়ে পড়লো। কেউ কেউ রাস্তায় বসে পড়লো। সারাদিন মেলা করার পর এত পথ হাটা আসলেই ক্লান্তির ছিলো। হেটে যাওয়ার প্ল্যানটা কে করেছিলো এক সময় সেটা কেউই খুঁজে পেলাম না। পুরো বিষয়টা আমি খুব এনজয় করছিলাম, আমি মোটেই ক্লান্তছিলাম না।
আবার হাটা, আবার থমকে দাঁড়ানো। কেউ কেউ বললো আর যাবো না, ফিরে যাবো। কেউ কেউ বললো তীরে এসে তরী ডুবানো যাবে না। আবার হাটা অবশেষে সেই স্ট্রীড ফুড খুঁজে পেলাম। পালং শাক, বেগুন, বরবটি, চিকেন, অক্টোপাস, এরকম আরো অনেক মজাদার খাবারে বারবিকিউর গন্ধে মন ভরে গেলো। সবাই যেন হাটার কষ্টের কথা ভূলেই গেলো। যার যেটা পছন্দ সেটাই খেলাম।
চলবে…
হাসিনা মুক্তা
সফল নারী উদ্যোক্তা