রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ৬ টি ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ১৯ জন উদ্যোক্তাকে প্রদান করা হয় “রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরষ্কার ২০১৯।”
উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ মান্নান, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্প মন্ত্রনালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি তার বক্তব্যে সম্মাননা প্রাপ্ত সকলের উদ্যেশ্যে বলেন, “গুণগত শিল্পায়নের নতুন ধারা এবং নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে আপনারা হবেন অন্যদের জন্য পথিকৃৎ। আপনাদের অনুসরন করে দেশে আরও দক্ষ ও তরুন শিল্পোদ্যোক্তা তৈরী হবে। তারা পরিবেশ বান্ধব শিল্পায়নের ধারায় নিজেদের সম্পৃক্ত করে বাংলাদেশকে শিল্পসমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সহায়তা করবেন।”
মাননীয় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন তার বক্তব্য বলেন, “ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত আমাদের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। দেশে ইতোমধ্যে প্রায় ১০ লাখ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরী হয়েছে যার ফলে এসব এসএমই শিল্প জিডিপি তে প্রায় ২৩ ভাগ এবং মোট শিল্প কর্মসংস্থানে প্রায় ৮০ ভাগ অবদান রাখছে।” মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ মান্নান তার বক্তব্যে জানান, “জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে এবং শিল্পোন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আপনারা আমাদের অগ্রদূত হিসেবে গণ্য হবেন। এই সম্মাননা আপনাদের কাজকে আরও বেগবান করবে এবং দেশের শিল্পখাতকে করবে আরও বেশি গতিশীল।”
পুরষ্কার ও সম্মাননা প্রাপ্তরা তাদের আনন্দ এবং উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। দেশের শিল্পখাত কে আরও উন্নত করতে ভবিষ্যতে তারা আরও বেশি কাজ করবেন এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে পুরষ্কারপ্রাপ্ত আল ফারুক সরকার উদ্যোক্তা বার্তা কে জানান, “এই সম্মাননা আমাদের আরও বেশি কাজ করার অনুপ্রেরনা দিবে পাশাপাশি আমরা আরও ভালো কাজ করে দেশের অগ্রগতিতে সাহায্য করতে পারবো বলে আশা করি এবং আমাদের হাত ধরেই শিল্পোন্নত বাংলাদেশ গড়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস।”
বেসরকারি শিল্পখাতে বিভিন্ন উল্লেখ্য অবদান রাখার জন্য এই ধরনের পুরষ্কার অনেক বেশি ফলপ্রসূ হবে পাশাপাশি শিল্পোন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।
সাকিব মাহমুদ,
উদ্যোক্তা বার্তা