আলো হ্যান্ডিক্রাফটের আলোয় আলোকিত হাজারো পরিবার

0
উদ্যোক্তা রাজিয়া মলি

রাজিয়া মলি। স্বপ্নবাজ এক তরুণী। তার স্বপ্নের সারথি আলো হ্যান্ডিক্রাফট।এলাকার অনেক নারী তাদের দুঃখের গল্প শোনান। পরিবারের চাহিদার কথা জানান। তাদের কষ্ট দেখে কিছু একটা করতে হবে ভেতরের তাগিদ অনুভব করেন।

যেভাবে শুরু…
স্বপ্নের শুরুটা ২০১৬ সালের মার্চে। মাত্র ১৪ হাজার টাকার সুতা কিনে আনেন বগুড়া শহর থেকে। আর তার এই কাজে উদ্যোমী তরুণ মাহবুবুর রহমানকে সঙ্গী হিসেবে পান । বগুড়ার শেরপুরে শুরু করেন বিভিন্ন ধরনের দ্রব্যাদি তৈরি করার কাজ। ১০ জন নারীকে সঙ্গে নিয়ে শুরু হয় পথচলা। উদ্দেশ্য মহৎ। গ্রামের কিছু নারীকে স্বাবলম্বী করা। কাজের ক্ষেত্র তৈরি করা। ২০২০ সালের মার্চ মাসে এসে এই সংখ্যা দাঁড়ালো ৫০০। ক্রমেই সংখ্যা বাড়তে থাকে। বাড়তে থাকে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। কর্মীদের সাথে সাথে বাড়তে থাকে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন।

দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশে আলো হ্যান্ডিক্রাফটের পণ্য
এই প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত পণ্য এখন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও যাচ্ছে। কানাডা, জার্মানি, নিউইয়র্ক সহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে আলো হ্যান্ডিক্রাফটের পণ্যের চাহিদা রয়েছে। কুশন, চাবির রিং, কভার, শো পিস শোভা পাচ্ছে দেশের নানান প্রান্তে। আলো হ্যান্ডিক্রাফটের স্বপ্নবাজ তরুণী মলি জানান বর্তমানে তাদের মাসিক বিক্রি প্রায় ১৩ লাখ টাকার মতো। ১৪ হাজার টাকা নিয়ে শুরু করা ব্যবসায় এখন মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬০ লাখ টাকা।

আলো ছড়াচ্ছে আলো হ্যান্ডিক্রাফট
আলো হ্যান্ডিক্রাফট আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। সেই আলোয় আলোকিত হচ্ছে ১৫০০ পরিবার। এখানে কাজ করে এলাকার নারীরা তাদের নিজেদের ভাগ্য যেমন পরিবর্তন করেছেন। তেমনি পরিবারে এসেছে স্বচ্ছলতা। মাহবুব ও মলির স্বপ্ন আলো হ্যান্ডিক্রাফট একদিন অনেক বড় প্রতিষ্ঠান হবে। হাজার হাজার নারী-পুরুষ তাদের কর্মক্ষেত্র খুঁজে পাবে। দেশের বেকার সমস্যা হ্রাস পাবে। দেশের পণ্য বিদেশে যাবে। বাংলাদেশ লাভ করবে বৈদেশিক মুদ্রা।

এভাবে যদি প্রতিটি তরুণ-তরুণী উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করেন তাহলে দূর হবে সামাজিক অবক্ষয়। তবে সকল সফলতার পেছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম।

ইমরান পরশ
উদ্যোক্তা বার্তা, ঢাকা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here