যুব নেতৃত্ব এবং উদ্যোগের মাধ্যমে খাদ্য ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে

0

যুব নেতৃত্ব এবং উদ্যোগের মাধ্যমে খাদ্য ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে বলে খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলেছেন, বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা উদ্বেগজনক। যে হারে বৈশ্ব্যিক জনসংখ্যা বাড়ছে, একই হারে খাদ্য উৎপাদন বাড়ছে না। পুষ্টিকর এবং পর্যাপ্ত নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে অবহেলার সুযোগ নেই।

বিশেষ করে সারাবিশ্ব এখন নিরাপদ, পুষ্টিকর এবং পর্যাপ্ত খাদ্যের সংস্থান করতে পারছে না। যার ফলে, আফ্রিকা এবং এশিয়ায় কিছু দেশে অপুষ্টি, ক্ষুধা এবং দুর্ভিক্ষে প্রতিনিয়ত লাখ লাখ শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ মারা যাচেছ।

আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক যুব দিবস-২০২১ উপলক্ষে আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সংস্থা ভিএসও’র আয়োজিত এক ওয়েবিনারে তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও আজকের পত্রিকার সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. গোলাম রহমান বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় নানা বিপর্যয় দেখেছি। তার থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছি। দেশে ৫ কোটি যুব শ্রেণি রয়েছে। তারা এখন দেশের হাল ধরছে। এদের মধ্যে অনেকেই এখনও বেকার রয়েছেন। যেটা আমাদের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ।

তিনি আরও বলেন, অনেক কৃষক এখনো তার ন্যায্যমূল্য পায়না। মধ্যস্বত্বভোগীরা কৃষকের মুনাফা নিয়ে নেয়। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে না এলে এই ঝুঁকি থেকেই যাবে। এজন্য স্বেচ্ছাসেবক ও যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরুর ধাপ থেকে সবশেষ ভোক্তার কাছে পৌছানো পযর্ন্ত সকল পযায়ে যুবদের সম্পৃক্ত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে তুলনামূলকভাবে অনেক সফল হয়েছে। বর্তমান সরকার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন হবার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে নিরাপদ এবং পুষ্টিকর খাদ্যের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ সরকারকে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের অন্যতম উপায় হল বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার সম্ভাবনাময় ৪০ ভাগ যুবদের সময় উপোযোগী এবং সঠিক কাজে লাগানোর সুযোগ তৈরি করা।

বক্তারা আরও বলেন, যুব জনগোষ্ঠীর সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে যুবদের উন্নত কৃষি প্রযুক্তি, জৈব প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া,যাতে স্বল্প খরচে অধিক নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে পারে। যা যুবদের কৃষিতে আত্মকর্মসংস্থান তৈরি করবে এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে ধরিত্রীর স্বাস্থ্যরক্ষায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে।

ভিএসও একটি আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সংস্থা। ভিএসও বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুকিপূর্ণ এলাকায় ৬ হাজারের বেশী যুবদের মাধ্যমে জলবায়ুর পরিবর্তন ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বিষয়ে সচেতনতা তৈরীর কাজ করছে । এছাড়া জলবায়ু ঝুকিপুর্ণ এলাকায় গ্রীণ টেকনোলজি ব্যবহারের মাধ্যমে উচ্চ ফলনশীল ফসল উৎপাদনে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করছে।

এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ভিএসও এই ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে। যেখানে জলবায়ুর পরিবর্তন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন তথা পরিবেশ এবং ধরিত্রীর সুরক্ষায় করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়।

উক্ত ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সিটিউিটের একাডেমি ফ্যাকালিটি এবং গবেষক তৌহিদুল ইসলাম।

উদ্যোক্তা বার্তা রিপোর্ট

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here