করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ রেখে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ক্ষতিগ্রস্ত কুটিরশিল্প, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (সিএমএসএমই) জন্য গঠিত ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল থেকে এই ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ পাবেন উদ্যোক্তারা।

গত ৪ জুলাই অর্থ মন্ত্রনালয়ের সুপারিশ অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগ থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, কুটির, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র শিল্পের উদ্যোক্তারা এই তহবিল থেকে চলতি মূলধন ঋণের পাশাপাশি মেয়াদি ঋণ নিতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে সুদ ভর্তুকি পাওয়া যাবে কেবল এক বছরের জন্য।

এ ছাড়া, মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা এই প্যাকেজের আওতায় আগের মতোই চলতি মূলধন ঋণ পাবেন। এক্ষেত্রেও সুদ ভর্তুকির সুবিধা এক বছর বলবৎ থাকবে।
গত বছরের ১৩ এপ্রিল করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত সিএমএসএমই খাতের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার ওই প্যাকেজের নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ঋণের সুদের হার নয় শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও গ্রাহক পর্যায়ে সুদ দিতে হচ্ছে চার শতাংশ। বাকি পাঁচ শতাংশ সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে।
গত ১৭ জুন পর্যন্ত সিএমএসএমই খাতের প্যাকেজের আওতায় ১৪ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। যা এই তহবিলের প্রায় ৭৫ শতাংশ। সিএমএসএমই খাতের ৯৪ হাজার ৯৬৯ গ্রাহক এই ঋণ পেয়েছেন।
১৭ জুন পর্যন্ত ক্ষুদ্র শিল্পের এই প্রণোদনা তহবিল থেকে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে ব্যাংকগুলো। এই ঋণ বিতরণ হলে তহবিলের বিতরণের হার দাঁড়াবে প্রায় ৮০ শতাংশে। এই ঋণ সুবিধা পেলে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র, কুটিরশিল্প ও মাঝারি শিল্প উদ্যেক্তাগণ তাদের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞগণ।
সেখ মুসফেক -উস -সালেহীন
উদ্যোক্তা বার্তা, ঢাকা