ম্যাট্রিক পাশ করে পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধূলা। ঢাকাতে ফার্স্ট ডিভিশন ক্রিকেট লীগে খেলতে খেলতে ইনজুরি। ফিজিওথেরাপিস্ট দু’বছরের জন্য বেডরেস্ট দিলেন। খেলাধূলা ছেড়ে আবারো পড়াশুনায় মন। উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতেই এলো ব্যবসার চিন্তা।
১২০০ টাকার পানি কিনেই বাজিমাত হলো ১৯৯৮ সালে। ঢাকা থেকে এসএ পরিবহনের মাধ্যমে পানি এনেই কাজ চলতো। ৫০% কমিশনে পানি আনা নেওয়ার কাজ চলতে থাকলো। একসময় পাইকারী মূল্যে পানি কিনে সেই পানি নিজেই সাইকেলে করে গ্রাহকের কাছে পৌছে দেবার ব্যবস্থাও করেছেন নিজেই।
ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট দেবার চিন্তা এলো মাথায়। তখনো বাংলাদেশে ওসমোসিস সিস্টেমেই পানি বিশুদ্ধিকরণ চলতো। কিন্তু বিশ্বজুড়ে সমাদৃত রিভার্স ওসমোসিস সিস্টেমের কথা জেনে উদ্যোক্তা সিদ্ধান্ত নিলেন নিজের নগরীতেই আনবেন এই প্রযুক্তি। তাইওয়ানের ইম্পোর্টারের সাথে অনেক চেষ্টায় যোগাযোগ হলো। অনেক অনুনয় বিনয়ে সেবারে অনেক টাকা বাকীতেই তাইওয়ান থেকে প্ল্যান্ট এনে বসানো হলো রাজশাহীতে। মার্কেটিং এর দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে কাজ চলছে, সাড়াও মিলতে শুরু করেছে। ইন্ডিয়ান হাইকমিশনারের ডাক পরলো, এবারে গ্রাহক হলেন তারা। পুরো অফিসের পানি সরবরাহের কাজ সবে শুরু হতেই আবারো এলো ডাক। এবারে পানি সরবরাহের কাজ দিলো গ্রামীনফোন। একে একে ব্যাংক, কর্পোরেট অফিসের ডাক আসছেই। চুক্তিবদ্ধ হলো ৪৫টি ব্যাংক শাখা। ঘুরে গেল ভাগ্যের চাকা।
কিশোর ক্রিকেটার থেকে সফল উদ্যোক্তা হয়ে রফিকুল ইসলাম স্বাধীন আজ সফলতার সাথে এগিয়ে নিচ্ছেন তার কর্মভূবন। তারই ফ্যাক্টরিতে আজ কাজ করছেন কর্মীরা। দেড় হাজার গ্যালন থেকে দৈনিক আজ ছয় হাজার গ্যালন পানি উৎপাদন করছে ওয়েসিস ড্রিংকিং ওয়াটার। ওয়েসিস অটোমেটিক রিভার্স ওসমোসিস প্ল্যান্ট সিস্টেম RO water উৎপাদনে রচনা করছে নতুন এক দিগন্তের গল্প। টিডিএস মিটারে টোটাল ডিসলভড সলিডের মাত্রায় আসা বিশুদ্ধ পানির মান নিয়ে শতভাগ নিশ্চয়তায় এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে উদ্যোক্তার উদ্যোগ।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা