'খাস ফুড' টিম

হাবিবুল মোস্তফা আরমান এবং তৌহিদুল ইসলাম এর উদ্যোগ ‘খাস ফুড’।অনলাইন প্লাটফর্ম এবং আউটলেটের সমন্বয়ে উদ্যোক্তারা গড়ে তুলছেন ‘খাস ফুড’।

“১৬ কোটির অধিক মানুষের এই দেশে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য  নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি” বললেন  তৌহিদুল ইসলাম এবং হাবিবুল মোস্তফা আরমান। মানসম্মত স্বাস্থ্যকর খাবার এবং দ্রুত ডেলিভারি সেবা প্রদানের মাধ্যমে ‘খাস ফুড’ সুস্থ ও সুখী জীবন নিশ্চিত করে ভোক্তাদের মুখে হাসি ফোটাতে চায় ,পূরণ করতে চায় চাহিদা।

উদ্যোক্ত- হাবিবুল মোস্তফা আরমান

২০১৫ সালে যাত্রা শুরু। শুরু থেকেই  নিজস্ব কোয়ালিটি কন্ট্রোল টিমের মাধ্যমে কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণে উদ্যোক্তারা উৎকৃষ্ট মানের পণ্য ভোক্তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবার চেষ্টায় কাজ করছে নিরন্তর।

সুস্থ দেহ ও মন সমৃদ্ধ একটি সুস্থ বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে চায় উদ্যোক্তাদের উদ্যোগ ‘খাস ফুড’। এই পথ পরিক্রমায় বর্তমানে মোহাম্মদপুর, উত্তরা, বাড্ডাসহ বেশকিছু এলাকায় আউটলেট প্রতিষ্ঠা করেছে উদ্যোক্তারা, পাশাপাশি ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের আনাচেকানাচে হোমডেলিভারির সুবিধাও নিশ্চিত করছে।

উদ্যোক্তাগণ এবং তার ডেলিভারি টিম

উদ্যোক্তা বার্তাকে হাবিবুল মোস্তফা আরমান বলেন, “আমাদের এই ওয়ারহাউস মডেল ডেলিভারির গতি এবং মান উন্নয়ন করবে, পাশাপাশি আউটলেটগুলো কাস্টমারকে দিবে স্ব-শরীরে প্রোডাক্ট চেক দেখার সুযোগ যা কাস্টমারের মনে আস্থার জন্ম দিবে”।

১০০ এর অধিক পণ্য নিয়ে উদ্যোক্তারা সাজিয়েছেন ওয়েবসাইট  এবং ফেসবুক পেজ।

মোবাইল এবং ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির এক দুর্বার সময়ে দাঁড়িয়ে উদ্যোক্তারা আরও জানান, তাদের ৬৫ শতাংশ এর অধিক অর্ডার আসে ওয়েবসাইট থেকে। বাকি অর্ডার আসে ফেসবুক এবং আমাদের হটলাইন নাম্বারের মাধ্যমে।

ইতিমধ্যে,  ‘খাস ফুড’ ৩৫ হাজারেরও বেশি গ্রাহকদের সেবা দিয়েছে। ৪০ জনের অধিক দক্ষ এবং নিবেদিতপ্রাণ কর্মী নিয়ে টিম গড়ে তুলেছেন উদ্যোক্তা হাবিবুল মোস্তফা আরমান ও তৌহিদুল ইসলাম।

তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “বর্তমানে আমরা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনকারী হিসেবে নিজেদের অবস্থানকে আরো সংহত করার জন্য কাজ করছি যার আওতায় আমরা কিছু কৃষক এবং উৎপাদনকারীকে নানান সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করছি, যা উৎপাদন ও উৎপাদিত পণ্যের উপর আমাদের নিয়ন্ত্রণকে আরো মজবুত করবে”।

উদ্যোক্তা এবং ‘খাস ফুড’এর সকল সদস্য

একসময় পাবলিক পরিবহণের মাধ্যমে ডেলিভারি করা খাস ফুডের ডেলিভারি চেইন এখন গঠিত মোটর বাইক এবং বাই সাইকেলের সমন্বয়ে। এখন তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় খাস ফুডের পণ্য পৌঁছে দেয়া।

খাস ফুড মনে করে তাদের মূল চালিকাশক্তি হলো তাদের খাবারের মান। এই খাতে তারা আরো বেশি গুরুত্বারোপ করছে ‘খাস ফুড’। ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ এবং ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করছে যেখানে ই-কমার্স হবে তাদের বিক্রয়ের প্রধান মাধ্যম।

গ্রাহকদের ভোটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে দুই উদ্যোক্তার স্বপ্ন খাস ফুড জাতীয় ‘F-Commerce Summit Award’ লাভ করে। ২০১৮ সালে অর্জন করে নবীন উদ্যোক্তা স্মারক।

জেবুননেসা প্রীতি
এসএমই করেস্পন্ডেন্ট ,উদ্যোক্তা বার্তা

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here