পড়াশোনা সম্পন্ন করে একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকুরীরত থাকাকালীন বিদেশে পাড়ি জমান এটিএম সামসুজ্জামান। তারপর দেশে ফিরে বাবার করা মোটর সাইকেলের ডিলারশিপ এবং ডিস্ট্রিবিউশনের সেই ব্যবসাটিকেই বেছে নিলেন তিনি।
২০১৩ সালে দিনাজপুরের দশ মাইল এলাকায় নয়নাভিরাম পরিবেশে স্থাপন করলেন বাংলাদেশের একমাত্র ড্রাইভ চেইন ফ্যাক্টরি। ৫০ সিসি থেকে ১৫০ সিসির মোটর সাইকেলের ড্রাইভ চেইন তৈরী করে প্রোডাকশন শুরু করেন ২০১৪ সালে। যাত্রা শুরুর ১ বছরের মধ্যেই দেশের স্বনামধন্য একটি মোটর সাইকেল ব্র্যান্ডের সম্পূর্ণ চাহিদা মিটিয়ে, বর্তমানে দেশ বিদেশের যেকোনো মোটর সাইকেল ব্র্যান্ডের চেইনের চাহিদা মেটাতে সক্ষম উদ্যোক্তার প্রতিষ্ঠান ‘কিউভিসি’।
যেখানে বিদেশী প্রতিষ্ঠানের তৈরী চেইনের কোনো ওয়ারেন্টি নেই, সেখানে একজন ক্রেতা ৩০ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত ওয়ারেন্টি দাবী করতে পারবেন উদ্যোক্তার স্বপ্ন ‘কিউভিসি’র তৈরী চেইনের। উদ্যোক্তা স্বপ্ন দেখেন সহজে ক্রেতাদের হাতে মানসম্মত পণ্য তুলে দিতে।
প্রতিদিন ৮ ঘন্টা করে সর্বমোট ৩টি শিফটে উদ্যোক্তার স্বপ্ন ‘কিউভিসি’তে কাজ করেন ১৮০ জন কর্মী। উদ্যোক্তা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পরিবেশসম্মতভাবে তার ফ্যাক্টরি সাজিয়েছেন। কর্মরত কর্মীরা মনোরম পরিবেশে ভীষণ উৎসাহের সাথে নিজেদের কাজ করে থাকেন অবিরাম। ‘বাংলাদেশ পারে এবং বাংলাদেশ পেরেছে’, এই কথাই যেনো বলছে উদ্যোক্তার স্বপ্ন কিউভিসি।
স্বপ্ন ভরা দু’চোখ নিয়ে দেশের জন্য ড্রাইভ চেইন তৈরীতে সম্পূর্ণ সক্ষমতা অর্জন করা মাঝারি উদ্যোক্তা এটিএম সামসুজ্জামান ২০১৬ সালে মাঝারি উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে অর্জন করেছেন জাতীয় এসএমই পুরস্কার। তবে পুরস্কারের জন্য নয়, উদ্যোক্তা কাজ করছেন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে সমৃদ্ধশালী করার জন্য।
পরিবেশ অধিদপ্তর, শ্রম ও কর্মসংস্থান সনদ পত্র, সরকারের যতগুলো লাইসেন্স শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজন তা নিজ যোগ্যতায় অর্জন করে বর্তমানে আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদন করে যাচ্ছে উদ্যোক্তার স্বপ্ন ‘কিউভিসি’।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা