দেশসেরা প্রকৌশল বিদ্যাপীঠ বুয়েটের শিক্ষার্থীরা কেউ আছে দেশে কেউ বা বিদেশে। বিশ্বব্যাপী করোনা যখন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে তখনও বাংলাদেশ থেকে তা তেমন আঁচ করা যায়নি। কিন্তু সতর্ক হতে, সচেতনতা বাড়াতে এগিয়ে এলো পুরোনো সব বন্ধুরা। বুয়েটের এলামনাই ,সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের সাধারন মানুষ, বিভিন্ন পেশাজীবি, পথচারী, ডাক্তার, নার্স ও রোগীদের সুরক্ষার কথা ভেবে কিছু একটা করার চেষ্টা করছিল। নিজেদের কিছু উদ্যোগ আর তার বাস্তবায়নের পথে একে একে সারথী হলো অনেক সাধারণ মানুষ এবং কিছু প্রতিষ্ঠান যেমন মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, পেইড ইট ফরোয়ার্ড, সাথে নতুন এক স্টার্ট আপ রক্ষী।

শুরুতে তারা একসাথে ছিলেন না। কেউ স্যানিটাইজার প্রকল্প, কেউ গ্লাভস, মাস্ক বানানো, পিপিই তৈরী, কেউবা এসব বিতরন, ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে কাজ করছিল। কিন্তু ভয়,শঙ্কা আর আতঙ্কের করোনা এক করলো সবাইকে। সকলের কন্ট্রিবিউশান, ফান্ড কালেকশন, বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ সমন্বয়ে চলছে কাজ।

প্রথমে স্যানিটাইজার প্রকল্প শুরু করে বুয়েট কেমিস্ট্রী ডিপার্টমেন্ট। সাথে যুক্ত হয় বুয়েট এলামনাই, মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, রক্ষী ,সপ্নসারথিসহ অনেকেই। এরপরে যুক্ত হয় ডাইসিন কেমিক্যাল, ইনোভেস। এখন পর্যন্ত তারা প্রায় সারা বাংলাদেশের ৭০+ হাসপাতালে স্যানিটাইজার পাঠিয়েছেন।

এছাড়াও সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পিপিই পাঠানোর জন্য লড়ে যাচ্ছে মানুষ মানুষের জন্য, পে ইট ফরোয়ার্ডসহ অনেক ফাউন্ডেশন।

তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা এই পর্যন্ত ৩০০০ মাস্ক, ৫০০০ হ্যান্ড গ্লাভসসহ প্রয়োজনীয় জিনিস বিতরণ করেছে বিভিন্ন হাসপাতালে এবং অসহায় মানুষসহ, বিভিন্ন পেশার মানুষের মাঝে যাদেরকে রাস্তায় কাজ করতে হয়।

প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেন মানুষ ত্রান পায় সেজন্য বাউনিয়া গ্রামে ফুড প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে রক্ষী। সাথে যুক্ত হয়েছে মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। বাউনিয়ার ৩৫০ ফ্যামিলির জন্য সেখানে খাবার পৌছানো তাদের লক্ষ্য।

দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে করোনা মোকাবিলায় বুয়েটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দেশের প্রতি এই দায়িত্ববোধ ও উদ্যোগ আগামীর চলার পথে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

সাদিয়া সূচনা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here