মানুষের অসাধ্য কী আছে? শৈল্পিক মানুষ তার কল্পনার রঙে পৃথিবীকে আরও রঙিন করে তুলতে পারেন। সামান্য ফল ও সবজির গায়েও সুই-কাঁচির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলতে পারেন ফুল, পশু-পাখি ও মনীষী সহ বিভিন্ন ধরনের নানন্দিক নকশা। তেমনই, শিল্পীসত্ত্বা নিয়ে পৃথিবীতে এসেছেন উদ্যোক্তা কাকলী দাস। খুলনার দোলখোলা লেনে জন্ম ও বেড়ে ওঠা তার। স্বর্গীয় সুবোধ কুমার দাস ও বীনা রানী দাস দম্পতির পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার ছোট তিনি।
ছোট বেলা থেকে নিজে কিছু করবেন, নিজে স্বাবলম্বী হবেন এই চিন্তা থেকে ২০১৪ সালে নিজ উদ্যোগে বুটিকস নিয়ে কাজ শুরু করেন। এরপর হোম মেইড কেক, পিঠা এন্ড ভেজিটেবল কার্ভিং করে ব্যাপক সফলতা পান। বর্তমানে তিনি কাস্টমাইজড কেক, বিভিন্ন ফ্লেভারের কেক, পিঠা, রোল এন্ড ভেজিটেবল কার্ভিং, বরণ ডালা, মিষ্টির হাড়ি, পানের ডালা ও বিয়ের বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে কাজ করছেন উদ্যোক্তা কাকলী দাস। তবে, ফল ও বিভিন্ন ধরনের সবজিতে কার্ভিং-এর মাধ্যমে বিভিন্ন শৈল্পিক নকশা ও ছবি ফুটিয়ে তুলে সবার নজর কেড়েছেন।
‘কাকলীস কার্ভিং এন্ড উইডিং ক্রিয়েশন’ নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্যোক্তার একটি পেইজ আছে। দেশের বাইরে তার পণ্য না গেলেও দেশের মধ্যে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা সহ বিভিন্ন জায়গায় তার পণ্য পৌঁছে গেছে। নিয়মিত-অনিয়মিত মিলিয়ে মোট ১০ জন কর্মী তার অধীনে কাজ করছেন। মাত্র ৫ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করা উদ্যোগে আজ প্রতি মাসে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করছেন উদ্যোক্তা কাকলী দাস। এছাড়া প্রতি মাসে ১০০ থেকে ১৩০টি কেক তৈরি করেন।
নিজের উদ্যোগ সম্পর্কে উদ্যোক্তা কাকলী দাস জানান, ‘নিজে স্বাবলম্বী হবো এবং অন্যকে উৎসাহিত করবো এই চিন্তা থেকে উদ্যোক্তা হয়েছি। তাছাড়া আমি একজন শিল্পী, তাই সৃজনশীল কাজের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই কাজকে বেছে নিয়েছি। এখন নিজের উপার্জনের টাকা দিয়েই সব শখ পূরণ করতে পারি। ভবিষ্যতে আমি একটা প্রতিষ্ঠান করতে চাই।’
সাইদ হাফিজ, উদ্যোক্তা বার্তা