একাল আর সেকাল যে কালেই যাইনা কেন বাঙালীর সাধারন জীবনযাত্রায় কাঁথা কিন্তু আজও নিত্যদিনের অনুসঙ্গ হয়েই জড়িয়ে আছে। গ্রাম-বাংলার জীবনযাত্রায় রোজকার অবসর বা শহুরে ব্যস্ততায় খানিক সময় মিললে মা-খালারা গল্পের সাথে সুই-সুতোর বাঁধনে আজও নকশীকাঁথার ফোড় তোলেন কাপড়ে।
নকশা থেকেই এসেছে নকশি শব্দটি। যার অর্থ বর্ণিল রং আর প্যাটার্নের বিন্যাস হস্ত সূচিকর্মের দ্বারা এটি কাপড়ে ফুটিয়ে তোলা হয়।
নকশা করা কাপড়টি কখনো কয়েকটি টুকরোর সম্মিলনে হয়ে উঠে গায়ে জড়ানো কাঁথা। কখনো বা হয়ে উঠে পোশাকের নকশা। সুতি, হাফসিল্ক, জর্জেট, মসলিন, কাতান সব কাপড়েই করা যায় এই নকশীকাঁথার হাতের কাজ।
শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, চুড়িদার, গয়না, ঘরসাজানোর নানান শোপিস, সোফার ম্যাট, বিছানার চাদর কিংবা আমাদের গায়ে জড়ানো শাল সবখানেই দারুণ মানিয়ে যায় নকশীকাঁথার নকশা।
সম্পূর্নভাবে হাতে তৈরী এই কাজ বাংলাদেশের সংস্কৃতির একটি বিশেষ দিককে ধারন করে। হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল বলছে তারই কথা।
সাদিয়া রশ্নি সূচনা