আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করা বাংলাদেশের খুদে হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরিমকে সম্মাননা জানিয়েছে সাবাব লেদার।
সৌদি আরবের পবিত্র মক্কায় আয়োজিত ৪২তম বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১১১টি দেশের ১৫৩ জন কোরআন হাফেজকে টপকে লাল সবুজের পতাকার জন্য গৌরব বয়ে আনেন এই খুদে হাফেজ।
এছাড়াও লিবিয়ায় আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরিম ৭ম স্থান অর্জন করেন। পাশাপাশি সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগী হিসেবে বিশেষ সম্মাননা অর্জন করেন।
তেহরানের আন্দিশাহ (আল-ফিকির) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ৩৮তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তাকরিম বিশ্বে ১ম স্থান অর্জন করেন।
বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকাকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরছেন এই খুদে কোরআন হাফেজ। গত ৪ অক্টোবর সাবাব লেদার এবং এসএসসি ৯৯ ব্যাচের সদস্যরা বিশ্বজয়ী এই হাফেজকে সম্মাননা, উপহার, হাদিয়া প্রদান করেন। হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিমকে নগদ ১ লাখ টাকা, তার পরিবার ও ওস্তাদদের জন্য উপহারসহ ও ছোট ছোট হাদিয়া দেওয়া হয়।
২০১৬ সাল থেকে আন্তর্জাতিক মানের চামড়াজাত পণ্য নিয়ে কাজ করা উদ্যোক্তা মাকসুদা খাতুনের সাবাব লেদারের ছয় বছরের পথচলায় ইতোমধ্যে কানাডা, স্পেন, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডস, জাপান, গ্রিস, ইতালি, ওমান এবং মরক্কোতে পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
উদ্যোক্তা মাকসুদা খাতুন পায়রা এবং তার স্বামী মো: শোয়াইব হোসেন শুভ বরাবরই চেষ্টা করেন বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকতে। অসুস্থ বন্ধুর চিকিৎসায় সহযোগিতার পাশাপাশি সিলেটের বন্যাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন তারা৷
সাবাব লেদার এর কর্ণধার উদ্যোক্তা মাকসুদা খাতুন বলেন, “সালেহ আহমাদ তাকরিম আমাদের দেশের গর্ব। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে সম্মানিত করেছেন। তাই আমরা আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এই সম্মাননার আয়োজন করি। আমাদের সাথে ছিল এসএসসি ৯৯ এর ব্যাচ, তারা খুবই আন্তরিক। আমাদের বিভিন্ন সামাজিক কাজে সবসময় আমরা তাদের পাশে পেয়েছি।”
উল্লেখ্য সাবাব লেদার আন্তর্জাতিক মানের জেন্টস ব্যাগ, লেডিস ব্যাগ, লং ওয়ালেট, মানি ব্যাগ, লেদার জ্যাকেট, বেল্ট, পাসপোর্ট হোল্ডার, টিস্যু বক্স, লেডিস পার্স, কি-রিং, অফিস ফাইল, অফিস ব্যাগ, ঘড়ির লেদার বেল্ট নিয়ে কাজ করছে।
সেতু ইসরাত,
উদ্যোক্তা বার্তা