উদ্যোক্তা- কঙ্কণ কুন্ডু

রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার এলাকায় পীযুষ কান্তি কুন্ডু এবং লিপি রাণী কুন্ডু দম্পতির কন্যা কঙ্কণ কুন্ডু। শৈশব-কৈশোর কাটিয়েছেন রাজশাহী নগরীতে। শহীদ নজমুল হক উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন।পরবর্তীতে ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ‘নাচ’ নিয়ে এখনো তার পড়াশোনা চলমান রয়েছে।

মহামারী করোনাতে দেশে ফেরেন কঙ্কণ কুন্ডু। বাসায় বসে থাকতে থাকতে একটা সময় তার মনে হয় এভাবে শুয়ে বসে থেকে সময় নষ্ট না করে সময়টাকে কাজে লাগাই। কিন্তু কি করা যায়, এমন ভাবনা চলতে থাকে মনে। হাতে যখন ফোন টা তুলে নেন তখন চোখে পড়ে অনেক মেয়ে এই মহামারী সময়ে কাজ শুরু করেছে। কেউ বুটিক আইটেম নিয়ে কাজ করছে কেউ বা খাবার নিয়ে, কঙ্কণ সেগুলো দেখে অনুপ্রাণিত হলেন। ঠিক করলেন হাতে তৈরি গহনা নিয়ে কাজ করবেন। কিন্তু একটি কাজ শুরু করতে কিছু পুঁজি লাগে তার কাছে তো কোন পুঁজি নেই। তারপর ভাবলেন হাত খরচের যে সামান্য পুঁজি আছে সেটি দিয়েই শুরু করবেন।

ফেসবুকে ‘ঝিঙেফুল’ নামে একটি পেজ চালু করলেন। হাতখরচের টাকায় গহনা তৈরির প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো ক্রয় করে বাসায় বসে নিজ হাতে গহনা তৈরি করতে থাকলেন। হাতের কাজ এতটাই সুনিপুণ ছিল যে অল্প সময়ে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করলো ঝিঙেফুল। জনপ্রিয়তা বাড়ায় হাতে তৈরি গহনার সাথে পণ্য তালিকায় কুশিকাটার পণ্য এবং মেয়েদের টপস, কুর্তি যুক্ত করলেন। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঝিঙেফুলের পণ্য পৌঁছাচ্ছে। হাত খরচের টাকা দিয়ে শুরু করলেও আজ তিনি স্বাবলম্বী। হাত খরচের সামান্য টাকা আজ হাজার হাজার টাকায় পৌঁছেছে।

উদ্যোক্তা বার্তাকে কঙ্কণ কুন্ডু জানান, ‘প্রতিটি মেয়ের স্বাবলম্বী হওয়া উচিত। এতে নিজের একটা জোর থাকে। আর দশজনের মধ্যে মাথা উঁচু করে চলা যায়। তাই সকল তরুণ ভাই-বোনদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনারা যারা সময় বিনা কারণে অপচয় করছেন তারা এই অভ্যাস ত্যাগ করুন। সময়টাকে যথাযথভাবে কাজে লাগান। কোন উদ্যোগ গ্রহণ করুন, সে উদ্যোগের পেছনে সময় ব্যয় করুন, কিছু দিন পর অযথা সময় ব্যয় এবং উদ্যোগের পেছনে সময় ব্যয়ের পার্থক্য নিজেরাই অনুভব করবেন’।

তামান্না ইমাম
রাজশাহী ডেস্ক, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here