স্বপ্ন দেখা মিতু এখন কর্মসৃষ্টির উদ্যোক্তা

0
উদ্যোক্তা মুন্নি নাসিমা হক মিতু

ফ্যাশনে নতুন মাত্রায় তার উদ্যোগ ‘সিল্কেন্ডি বাই মিতু’, যেখানে রয়েছে দেশি-বিদেশি নানা ধাঁচের কাপড়ের নানা ডিজাইনের পেশাক। উৎসব আয়োজনের কেনাকাটায় অনেক নারীর পছন্দ তার পোশাক। এ উদ্যোগ নিয়ে বিশ্বের বড় শপিং মলগুলোতে দেশীয় ডিজাইনে তৈরি পণ্য শোভা পাবে, এমন স্বপ্ন দেখেন মুন্নি নাসিমা হক মিতু।

ইঞ্জিনিয়ার বাবা এবং হাউজ ওয়াইফ কর্মঠ মায়ের চার সন্তানের মধ্যে মিতু দ্বিতীয়।
গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া হলেও বড় হয়েছেন চট্টগ্রামে।পড়াশোনা করেছেন চট্টগ্রাম  ইউনিভার্সিটিতে, ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে। ১৭ বছর চাকরি করেছেন, তার মধ্যে ১৫ বছর ব্যাংকে।

মুন্নি নাসিমা হক মিতু ২০০০ সালে প্রথম নিজের উদ্যোগ শুরু করেন। কিন্তু চাকরি এবং বাচ্চাদের সময় দেওয়ার কারণে কিছুটা দূরে ছিলেন। এরপর ২০১৯ সালে  চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি উদ্যোক্তা জীবন শুরু।

উদ্যোক্তা হওয়ার ভাবনাটা কিভাবে আসে জিজ্ঞেস করলে মিতু বলেন: ছোটবেলা থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার ভাবনা ছিল। মা হাউজ ওয়াইফ দেখে এটা আমার চিন্তায় ছিল সবসময়। তাই চাকরিরত অবস্থায় থেকে ডিজাইন নিয়ে কাজ করতাম। বুঝ হবার পর থেকে পরিবার এবং বন্ধুদের  জন্য ডিজাইন করে পোশাক তৈরি করে দিতাম। সেখান থেকে মুলত আমার উৎসাহ ধীরে ধীরে বেড়ে যায়।

তিনি জানান,  ৩০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। কাজ করছেন পোশাক ডিজাইন নিয়ে, সব বয়েসী নারী-পুরুষের জন্য  আরামদায়ক কাপড় এর ডিজাইন করতে তার ভাল লাগে। তবে, নিজের কোন কারখানা নেই। অন্যের কারখানায় সিডিউল নিয়ে কাজ করেন। একজন সেলাই কর্মী আছেন। বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত এবং যোগাযোগের মাধ্যমে কাজ করিয়ে নেন।

তিনি বলেন, ‘ব্যবসা এখন   অনলাইন পেইজ এর মাধ্যমে পরিচালনা করছি। নাম দিয়েছি “Silkandy by mitu”. বিদেশে বিক্রি তেমন ভাবে না করতে পারলেও, দুবাই, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, কানাডায় আমার পণ্য যায়, ব্যক্তিগতভাবে বিক্রি হয়। দেশের ভেতরে প্রায় জেলাতে ভালো ভাবে বিক্রি করে এগিয়ে যাচ্ছি।’

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘একটা লক্ষ্য হলো আমার দেশের পণ্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া এবং সবার আগে নিজের দেশের পণ্য ব্যবহারে সবাইকে অভ্যস্ত করানো। এজন্য আমি সব পোশাক তৈরি করি আমার দেশের পণ্য দিয়ে, বিশেষ করে তাঁত এর কাপড় এবং রাজশাহীর কাপড় নিয়ে সামনে নিজের একটি শো-রুম করারও খুব ইচ্ছা।’

তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য তার পরামর্শ: নিজের দেশের যেখানে যা কিছু ভালো তা নিয়ে কাজ করা, দেশীয় সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে যাওয়া এবং বেশি বেশি কর্মী তৈরি করা।

মেহনাজ খান
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here